৭ বিয়ে করে আলোচিত কুষ্টিয়া সদর উপজেলার রবিজুল ইসলাম (৩৯)। এক বছর ধরে ৭ স্ত্রীকে নিয়ে একই বাড়িতে সংসার করছেন। চার মাস আগে এক বউ তালাক দিয়েছে রবিজুলকে। বাকি ৬ বউয়ের দুজনকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন গ্রাম্য মাতব্বররা। পরে পুলিশের সহায়তায় দুই বউকে ফিরে পেয়েছেন রবিজুল।
শনিবার ৮ জুন দুপুরের দিকে রবিজুলের দুই বউকে জোরপূর্বক বের করে দেয়ার এ ঘটনা ঘটে। পরে দুই বউ পুলিশকে ঘটনাটি জানালে পুলিশের সহায়তায় রবিজুলের বাড়ি ফেরেন তারা।
রবিজুল ইসলাম কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পাটিকাবাড়ি গ্রামের মিয়া পাড়ার আয়নাল মণ্ডলের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, বিয়ের এক বছর রবিজুলের ভালোই চলছিল সংসার। তাদের পরিবারে ছিল না কোনো ঝগড়া। গত শুক্রবার (৭ জুন) স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম বলেন ইসলামি দৃষ্টিতে ৭ বিয়ের কোনো বৈধতা নেই আর এই বিয়ে হলেও এর কোনো ভিত্তি নেই। এরপরই গ্রামের মাতব্বররা রবিজুলের ৫ম স্ত্রী ও ৭ম স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
পরে তারা উপায় না পেয়ে স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পে জানালে পুলিশি সহায়তা বাড়ি ফিরে রবিজুলের দুই স্ত্রী।
রবিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সাত বিয়ে করেছি। ছয় নম্বর বউ জুই চার মাস আগে ডিভোর্স দিয়ে চলে গেছে। বাকি ছয় বউকে নিয়ে সুখে-শান্তিতে বসবাস করছিলাম। আমাদের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই। আমার বউরা সুন্দরভাবে সংসার করছে। কিন্তু গ্রামের মাতব্বররা পাটিকাবাড়ি বাজারে আমাদের ডেকে নিয়ে ভয়-ভীতি দেখায়। এরপর তারা জোর করে দলিলে আমাদের স্বাক্ষর নিয়ে দুই স্ত্রীকে দুই লাখ করে চার লাখ টাকার চেক দিতে বাধ্য করেন। তারা আমার বাড়ি থেকে ৫ নম্বর বউ সোহানা আক্তার ও ৭ নম্বর বউ মিতা আক্তারকে জোরপূর্বক বের করে দেন।’
তার দুই স্ত্রী মিতা ও সোহানা বলেন, ‘আমরা জেনে শুনেই রবিজুলকে বিয়ে করছি। আমাদের খাওয়ার কষ্ট নেই, আমরা তো খুব সুখে জীবনযাপন করছি। আমাদের দুইজনকে গ্রামের মাতব্বরা বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার পর আমরা ক্যাম্পে পুলিশি নালিশ করলে পুলিশের সহায়তায় আমরা বাসায় ফিরেছি।
স্থানীয় মাতব্বর পাটিকাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সফর উদ্দীনকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি এবং তার মুঠোফোনে খুদেবার্তা পাঠিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
পাটিকাবাড়ি পুলিশ ক্যাম্পের আই সি মনজুরুল ইসলাম জানান, রবিজুলের পরিবারের সবাইকে নিরাপত্তা দেয়া হবে।
একুশে সংবাদ/ সম.টি./ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :