ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল রাজবাড়ী এক্সপ্রেসওয়ে থ্রি-ফোর ট্রেন। ট্রেন লাইনের ক্লিপ খুলে নেওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনার আশঙ্কায় ছিল। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে আড়াই ঘণ্টা পর ক্লিপ স্থাপন শেষে ভাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছায় রাত ৯ টা ৪০ মিনিটে।
উপজেলার হামিরদি ও নওপাড়া গ্রামের মাঝামাঝি এলাকায় বুধবার রাত ৭ টা ১০ মিনিটের সময় এ ঘটনাটি ঘটে ।
রেল সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ী এক্সপ্রেস ট্রেন ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে বিকেল পাঁচটা দশ মিনিটের সময়। ফরিদপুর থেকে ওই ট্রেনটি ছেড়ে আসে ৬:৩০ মিনিটের সময়। ওই ট্রেনটি ভাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছানোর কথা ছিল সাতটা পাঁচ মিনিটের সময়। উপজেলার নওপাড়া নামক স্থানে রাজবাড়ী এক্সপ্রেস পৌঁছালে রেল লাইনের পিডাব্লিউ আই (ইঞ্জিনিয়ার সেকশন) নজরে পড়ে। এ সময় ইঞ্জিনিয়াররা বিপদ সংকেত দিয়ে লাল বাতি জালিয়ে রেল লাইনে অবস্থান নেন। পরে রেল লাইনের পাতির ক্লিপ স্থাপন করে নির্ধারিত সময়ের আড়াই ঘণ্টা পর ভাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছায়।
এ ঘটনায় ভাঙ্গা রেল স্টেশন মাস্টার শাহজাহান জানান, বিষয়টি নাশকতা নাকি ছিসকে চোরেরা এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে সেই বিষয়টি তদন্ত করে বলা যাবে। তবে প্রাথমিক ধারণা মতে একদিনে করে নাই। প্রায় ১৫০০ প্লাস ক্লিপ ধীরে ধীরে অনেকদিন পর্যন্ত খুলে নিয়ে গেছে। আমাদের ধারণা সম্ভবত মাদকাসক্তরা এমন কান্ড ঘটাতে পারে।
কিভাবে টের পেয়েছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শাজাহান জানান, বুধবার দিন সন্ধ্যায় আমাদের রেল লাইনের পি ডব্লিউ আই গ্রুপটি একটি বগি নিয়ে লাইন চেক করতে গিয়ে তাদের নজরে আসে। অথচ গতকাল দুপুরেও ট্রেন ভাঙ্গা থেকে মধুমতি এক্সপ্রেস রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। আল্লাহ বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করেছেন।
এদিকে এলাকাবাসী নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড নাকি চোরেরা এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে তদন্ত করে কঠোর বিচারের দাবি জানান।
অন্যদিকে, রেগুলার ট্রেন যাত্রীরা তারা আতঙ্কে থাকেন। ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গায় আসার পথে রেগুলার পাথর নিক্ষেপ করা হয় ট্রেনের দিকে। তাদের ধারণা ঘটনাটি নাশকতা মূলক হতে পারে। পুখুরিয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলাকালীন সময় পাহারাদার দেওয়া উচিত বলে মনে করেন যাত্রীরা।
একুশে সংবাদ/সা.শ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :