AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

শেরপুর সীমান্তে তীব্র শীতে ধস নেমেছে কৃষি ও পোল্ট্রি ফার্ম খাতে


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি, শেরপুর
০৪:১৩ পিএম, ২১ জানুয়ারি, ২০২৩
শেরপুর সীমান্তে তীব্র শীতে ধস নেমেছে কৃষি ও পোল্ট্রি ফার্ম খাতে

শেরপুরের সীমান্ত অঞ্চলে শৈত প্রবাহ ও কুয়াশা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কারনে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পরেছে বিভিন্ন জীববৈচিত্রের উপরে। কৃষি, বাণিজ্য, পোল্ট্রি ফার্ম, ডেইরি ফার্মসহ মানব জীবনে। প্রচন্ড শীতের কারনে জন জীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। কৃষি খাতে ব্যাপক প্রভাব পরেছে ঘন কুয়াশা ও শৈত প্রবাহের কারনে। ক্ষতির মুখে পরেছে চলতি বোর মৌসুমের বোর বীজতলার (চারা)।

 

একই সাথে ব্যাপকভাবে ক্ষতি হয়েছে নানা জাতের সবজী খেত। বোর বীজ তলার বীজ (চারা) নষ্ট হওয়ায় হুমকির মুখে পরেছে বোর মৌসুম। বোর বীজ সংকট নষ্ট হওয়ায় অনেক কৃষক বোর বীজ সংগ্রহ করতে হচ্ছে।

 

প্রতি ১ কেজি বোর বীজের (চারা) ক্রয় করতে হচ্ছে ১৫শ” থেকে ১৮শ” টাকা। এতে অনেক দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষির ক্রয় করা অত্যান্ত কষ্ট সাধ্য। কিন্তু কোন উপায় নেই বোর আবাদ করতে হলে উচ্চ মূল্যে বোর বীজ চারা সংগ্রহ করতে বাধ্য।

 

উল্লেখ্য ধানের বাজার ভালো হওয়ায় এ বছর অত্র উপজেলায় লক্ষ মাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে বোর চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। বিগত বছরে ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোর চাষ হয়েছে। কিন্তু এ বছর প্রায় ১৫/১৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোর চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। যদি বোর বীজের সংকট না হয় তাহলে লক্ষ মাত্রার চেয়ে বেশি জমিতেই বোর চাষ আশা করা যায়। প্রকাশ থাকে যে তীব্র শীতের কারনে কৃষক ও শ্রমিকেরা বোর ফসলের চাষাবাদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যে শ্রমিকেরা কাজ করতে গিয়ে বহু শ্রমিক ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। 

 

অপর দিকে দীর্ঘস্থায়ী প্রকৃতির বৈরী আবহাওয়ার বিরুপ প্রভাবে জীববৈচিত্রের উপরে প্রভাবিত হওয়ায় ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে অত্র অঞ্চলের সকল ক্ষেত্রে। অত্র উপজেলায় ছোট বড় অনেক গুলি পোল্ট্রি ফার্ম ও ডেইরি ফার্ম রয়েছে। এই সমস্ত ফার্ম থেকে প্রতিনিয়ত উৎপাদিত হতো ডিম ও দুধ। কিন্তু বহু পোল্ট্রি ফার্মে প্রচন্ড দীর্ঘ শীতে ফার্মের মুরগি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় ফার্মের মুরগি থেকে ডিমের। এতে এক দিকে যেমন লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতির মুখে পরে পোল্ট্রি ফার্মের মালিকগন অপর দিকে দেশের ডিম উৎপাদনে মারাত্বক ভাবে বাধাগ্রস্থ হলো।

 

পোল্ট্রি ফার্ম মালিক আলহাজ্ব মো. আব্দুস ছাত্তার ও আলহাজ্ব মো. আবু ছালে জানায় বৈরী এই আবহাওয়ায় তারা লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষাতির মুখে পড়েছে। এছাড়া মৎস্য খাতেও ব্যাপক ধস নেমেছে এতে মৎস্য চাষিরা রয়েছে বিপাকে। এবং কি অনেকে ছোট থাট ফার্ম মালিকগন একেবারে নিস্ব হয়ে গেছে এই বিরুপ প্রতিকূল আবহাওয়ায় কারনে।

 

পাশাপাশি দরিদ্র প্রান্তিক চাষিরা অত্র এলাকায় নানা জাতের সবজী চাষ করে তাদের জীবন জীবিকা চালায়। কারন অল্প জমিতে ধান পাট চাষ করে তাদের সংসার চলে না। তাই তারা অল্প জমিতে বছর জুরেই নানা জাতের সবজী চাষ করে উৎপাদিত সবজী বাজরে বিক্রি করে জীবন জীবিকা চালায়। তাই এই দরিদ্র চাষিরাও ক্ষতির মুখে পড়েছে এই বৈরী আবহাওয়ায়। তাই বিজ্ঞমহল মনে করে ক্ষতিগ্রস্থ প্রান্তিক চাষি ও পোল্ট্রি ও ডেইরি ফার্ম মালিকদেরকে সুদ মুক্ত ঋণ সহায়তা প্রদান করে তাদেরকে পূনরায় উৎপাদন মুখি করা জরুরি দরকার। নচেৎ উৎপাদনে দেখা দিবে সংকট ক্ষতির মুখে পরবে উৎপাদনকারীরা।

 

একুশে সংবাদ.কম/রা.হা.প্র/জাহাঙ্গীর   

Link copied!