নাটোরের লালপুরে ইমো হ্যাক করে বিকাশের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ায় সংঘবদ্ধ `ইমো হ্যাকিং` চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে নাটোর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান নাটোর র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) রাতে লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন—মৃত শামসেদ মন্ডলের ছেলে মো. বেলাল মন্ডল (২৯), মো. শাহাবুল ইসলামের ছেলে মো. মেহেদী হাসান (২৪), মো. মঞ্জুর রহমানের ছেলে মো. মোহন সরকার (১৯), মো. মাজদার প্রামানিকর ছেলে মো. শিমুল আলী (১৯), মো. নূর আলম সরকারের ছেলে মো. শাহ পরান সরকার (১৯), মো. ইয়াসিন আলীর ছেলে মো. রবি (২২) এবং মো. রিফাজ মন্ডলের ছেলে মো. রুবেল মন্ডল (৩২)।
র্যাব জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে লালুপরে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইমো হ্যাক করে বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণাপূর্বক অর্থ হাতিয়ে নেওয়ায় ওই চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৯টি মোবাইল, ১৫টি সিমকার্ড, ২ বোতল ফেনসিডিল, নগদ ১৫ হাজার ৪০০ টাকা জব্দ করা হয়।
র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন জানান, ভুক্তভোগী মো. মনিরুল ইসলামের (৩৮) চাচাতো ভাই মো. ওয়াসিম সৌদি আরবে থাকেন। তার ইমোর আইডি থেকে ভুক্তভোগীর ইমোতে শ্রমিকের বিল দেওয়ার এজন্য একটি মেসেজ আসে এবং একটি বিকাশ নম্বর দেওয়া হয়। মনিরুল ইসলাম সরল বিশ্বাসে ওই বিকাশ নম্বরে ২১ হাজার ৫০০ টাকা পাঠায়। পরবর্তীতে তার চাচাতো ভাইয়ের ইমো আইডি থেকে বেশ কিছু বিকাশ নম্বর পাঠিয়ে টাকা দিতে বলা হয়।
মো. মনিরুল ইসলাম একইভাবে ওই বিকাশ নম্বরগুলোতে মোট ১ লাখ ২০ হাজার ৮৬০ টাকা পাঠায়। এর আগেও তিনি তার চাচাতো ভাইয়ের কথামতো বিকাশে টাকা পাঠিয়েছিলেন। কিছুদিন পর তার চাচাতো ভাই তাকে ফোন করে জানায় যে, তার ব্যবহৃত ইমো অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়েছে।
তখন মো. মনিরুল ইসলাম বুঝতে পেরে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র তার চাচাত ভাইয়ের ইমো অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে পাঠানো বিকাশ নম্বরগুলো দিয়ে তার সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। পরে তিনি বড়াইগ্রাম বনপাড়া বাইপাস মোড়ে র্যাবের টহল দলের কাছে ইমো হ্যাংক করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি জানান।
তার অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য-প্রযুক্তি ও বিশেষ গোয়েন্দা ভিত্তিতে লালপুর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সেই সংঘবদ্ধ ইমো হ্যাকিং চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করে।
তিনি আরও জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ‘ইমো’ ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে বিকাশের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিতেন। পরে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে লালপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
একুশে সংবাদ/রা.আ.প্রতি/পলাশ
আপনার মতামত লিখুন :