কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার পাওয়া গেছে ১৫ বস্তা টাকা। এর সঙ্গে স্বর্ণালঙ্কার ও বিদেশি মুদ্রাও পাওয়া গেছে। শহরের এই আলোচিত মসজিদটিতে রয়েছে মোট আটটি দান বাক্স। প্রতি তিন মাস পর পর এই বাক্সগুলো খোলা হয়।
শনিবার (১ অক্টোবর) সকালে মসজিদের ৮টি লোহার দানবাক্স খোলা হয়।
জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে স্থানীয় একটি ব্যাংকের ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, মসজিদ কমিটির ৩৫ জন, মসজিদ ক্যাম্পাস মাদরাসার দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীসহ দুই শতাধিক মানুষ টাকা গণনার কাজে অংশ নেন।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, সারা দিন ধরে টাকাগুলো গণনার কাজ চলবে। সন্ধ্যা নাগাদ জানা যাবে দানের টাকার পরিমাণ।
সবশেষ গত ২ জুলাই মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়। তখন ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার ৪১৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়। এবার ৩ মাস ১ দিন পর দান সিন্দুকগুলো খোলা হয়েছে।
জনশ্রুতি আছে, প্রায় ৫০ বছর আগে পাগলবেশী এক আধ্যাত্মিক সাধু নরসুন্দা নদীর মাঝখানে চরে আশ্রয় নেন। তার মৃত্যুর পর সমাধির পাশে এই মসজিদটি গড়ে ওঠে। পরে পাগলা মসজিদ নামে পরিচিত এই মসজিদটি।
পাগলা মসজিদে দান করলে মনের ইচ্ছা পূরণ হয় এমন বিশ্বাসে মুসলমান ছাড়াও অন্যান্য ধর্মের লোকজন এখানে দান করে থাকেন। নগদ টাকা ছাড়াও চাল, ডাল, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগিসহ অনেক কিছু দান করেন মানুষজন।
দানের টাকা থেকে নিজস্ব খরচ মিটিয়েও জেলার বিভিন্ন মসজিদ- মাদ্রাসা এতিমখানাসহ গরিব ছাত্রদের মাঝে ব্যয় করা হয়। টাকা দেয়া হয় নানা সামাজিক কাজে। বাকি টাকা রুপালী ব্যাংকে জমা রাখা হয়।
পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ জানান, মসজিদের দানের টাকা দিয়ে শত কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
একুশে সংবাদ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :