AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

পঞ্চগড়ে পুলিশের চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি, পঞ্চগড়
০২:৫৪ পিএম, ১৩ আগস্ট, ২০২২
পঞ্চগড়ে পুলিশের চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ

ছবি: সংগৃত

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় পুলিশের চাকরি দেয়াসহ সরকারি বিভিন্ন সুযোগ বিধার নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ায় অভিযোগ উঠেছে তেঁতুলিয়া হাইওয়ে পুলিশের গাড়ি চালক কনস্টেবল জুয়েল খন্দকারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিভাগীয় ভাবে তাকে ক্লোজড করা হয়েছে। অভিযুকত কনস্টেবলকে বর্তমানে আটক রেখে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন তেঁতুলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম খাঁন। এদিকে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণ করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে হাইওয়ে পুলিশের রংপুর সার্কেল এসপি জাহিদ চৌধুরী তদন্তে গত বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) তেঁতুলিয়া হাইওয়ে থানা পরিদর্শন করেছেন।

জানা যায়, গাড়ি চালক কনস্টেবল জুয়েল খন্দকার থানার পরিচ্ছন্ন কর্মী ভজনপুর ইউনিয়নের ভদ্রেশ্বর গ্রামের নাজিরকে পুলিশে চাকরি দেয়ার লোভ দেখায়। এর মাঝে হাইওয়ে থানার পরিচ্ছন্ন কর্মী নাজিরের কাছ থেকে ১১ লাখ ৯৩ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দীর্ঘদিন অতিবাহীত হয়ে গেলেও গাড়ি চালক কনস্টেবল জুয়েল খন্দকারের কোন হুদিস না থাকায় থানায় অবহিত করে হাইওয়ে পুলিশের বগুড়া রিজিয়নের এসপি বরাবর অভিযোগ করেছে পরিচ্ছন্ন কর্মী নাজির। এদিকে অভিযোগের পর জুয়েলকে প্রথমে বগুড়া এসপি অফিসে ক্লোজড করার পর রংপুর সার্কেল অফিসে রাখায় হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্তে বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) রংপুর সার্কেল জাহিদ চৌধুরী সরেজমিনে তেঁতুলিয়া হাইওয়ে থানায় এসে অভিযোগকারী ও সাক্ষীদের জবানবন্দী নিয়ে যান।

অভিযোগকারী পরিচ্ছন্ন কর্মী নাজির বলেন, গাড়ি চালক জুয়েল খন্দকার প্রায় সময় পুলিশের চাকরি নিয়ে দিবে বলে আমাকে বলে আসতো। বিষয়টি তেমন ভাবে কান দেই নি। হঠাৎ আরেকদিন বলে তার পঞ্চগড় পুলিশ সুপারসহ উপরের সবার সাথে ভালো সম্পর্ক। বিভিন্ন ভাবে লোভ দেখিয়ে কাগজপত্র চেয়ে ৭০ হাজার টাকা প্রথমে নেয়। এভাবে পর্যায়ক্রমে আমিও তাকে ১১ লাখ ৯৩ হাজার টাকা দেই। একসময় সে চাকরি হয়েছে বলে ঢাকায় নিয়ে মাঝ রাস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। কিন্তু আর কোন চাকরির খবর না থাকায় আমি অভিযোগ করি।


তেঁতুলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম খাঁন জানান, গাড়ি চালক জুয়েল খন্দকারকে বগুড়া এসপি অফিসে ক্লোজড করে রংপুর সার্কেল অফিসে রাখা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে রংপুর সার্কেল এসপি তদন্ত করছেন। অভিযোগারী ও সাক্ষীদের জবানবন্দী নিচ্ছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সকল প্রসেসিং-এর মাধ্যমে তার চাকরিও চলে যাবে। টাকাা ফেরতের বিষয়টি এসপি স্যার বলতে পারবেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে, বিভাগীয় ভাবেও মালা হবে। এদিকে পরিচ্ছন্ন কর্মী নাজির ১১ লাখ ৯৩ হাজার টাকার কথা বললেও জুয়েল খন্দকার ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা কথা বলেছে। এখন পর্যন্ত একটি অভিযোগই করা হয়েছে এবং সেটি তদন্তে রয়েছে। বাকি অভিযোগকারীগুলো দুই এক দিনের মধ্যে অভিযোগ পাঠাতে পারে।

এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের রংপুর সার্কেল এসপি জাহিদ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে মুঠোফেনে বলেন, অভিযোগ পাওয়া পর তদন্ত চলছে। বর্তমানে অভিযুক্ত ক্লোজড রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

 

 

 

একুশে সংবাদ/ডি.বা/এস.আই
 

Link copied!