AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

চিকিৎসা সেবায় বদলে গেছে শিবচরের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি,মাদারীপুর
১১:৫৭ এএম, ৭ জুলাই, ২০২২
চিকিৎসা সেবায় বদলে গেছে শিবচরের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

ছবি: সংগৃহীত

মানব সেবার শপথ নিয়েই চিকিৎসকদের চিকিৎসা পেশায় প্রবেশ করতে হয়। চিকিৎসকরা মানুষের জীবন রক্ষায় কাজ করেন। রোগীর পাশে বিশ্বস্ত বন্ধুর মতো দাঁড়াতে হয় চিকিৎসকদের। গ্রামীণ জনপদে উন্নত সেবার এক অনন্য দৃষ্টান্ত মাদারীপুর শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

শিবচরের বেশির ভাগ মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র কেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির সার্বিক অবকাঠামোর সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি, নিয়ম শৃঙ্খলার উন্নতি ও সেবার মান ব্যপক পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে হাসাপাতালের সেবা নিয়েও এলাকার মানুষ বেশ সন্তোষ্ট।

জানা যায়, শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.শশাঙ্ক ঘোষ এর দক্ষ ব্যবস্থাপনায় অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়েও রোগীরা এখন আন্তরিকতাপূর্ণ সেবা পাচ্ছেন। পঞ্চাশ (৫০) শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসক মোট ৩৯ জন, সেবিকা ৩২ জন নিয়ে রোগীদের নিয়মিত সেবা দিচ্ছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর জরুরী ও বহির্বিভাগে। উপজেলায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা প্রতিদিন কমবেশী প্রায় ৪০০ জন রোগীর সেবা নিয়ে থাকে।

প্রতিদিন জরুরী বিভাগে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ জন রোগী সেবা নিয়ে থাকে। প্রতিমাসে কমবেশী ১৫ থেকে ২০ জন গর্ভবতী মায়ের নরমাল ডেলিভারী করা হয়। তাছাড়াও জ্ঞাত যে জরুরী প্রয়োজনের দিক বিবেচনায় ২৪ ঘন্টা হাসপাতালে ডেলিভারীর ব্যবস্থা চালু রয়েছে।

গত ২০২০ সালের ০১ জানুয়ারি তিনি যোগদানের পর পর এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর দৃশ্যপট একেবারে পাল্টে দিয়েছেন বর্তমান শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.শশাঙ্ক ঘোষ । তিনি এখানে যোগদানের পর থেকে হাসপাতালের রোগীর খাবার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, সুবিধা-অসুবিধাসহ সার্বিক বিষয়ে নানামুখী সৃজনশীল কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তাছাড়াও রাত অবধি এই কর্মকর্তাকে হাসপাতালের কর্মব্যস্থ সময় পার করতে দেখা যায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সূত্রে জানা যায়,  করোনাকালে এখানে মোট  ৫৫ হাজার ৬শ ৩২ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তার মধ্যে করোনা আক্রান্ত ১ হাজার ৫শ ৫৬ জন রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। তার মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১০ জন রোগী মারা যায়। নিয়মিত করোনা টিকা দান কার্যক্রমের পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় গণটিকা প্রধান করা হয়েছে। ২ লাখ ৪২ হাজার জন কে প্রথম ডোজ ও প্রায় ২ লাখ জনকে দ্বিতীয় ডোজ এবং ৫০ হাজার জনকে বুস্টার ডোজ টিকা প্রধান করা হয়েছে।

শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা কয়েজন রোগী  অভিযোগ করে বলেন, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালালরা সব সময় হাসপাতালের ভেতরে ঘোরাঘুরি করে। অনেকে আবার চিকিৎসকের চেম্বারের মধ্যে অবস্থান করে। চিকিৎসকরা রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দিলেই এসব দালাল পাগল হয়ে যায় তাদের প্রতিষ্ঠানে নেয়ার জন্য। এতে রোগী ও স্বজনদের প্রতিদিনই নাজেহাল হতে হয়। তবে সরকারি এই হাসপাতালটিতে চুরি, ছিনতাই, দালালদের দৌরাত্ম্য কিছুটা হলেও কমে এসেছে বলে সাধারণ রোগীদের আত্মীয়স্বজনরা মনে করছেন।

শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.শশাঙ্ক ঘোষ বলেন, ‘মুজিব বর্ষে স্বাস্থ্য খাত, এগিয়ে যাবে অনেক ধাপ’। এই স্লোগানের মাধ্যমে একটি পরিকল্পনা করি কীভাবে এই হাসপাতালের পরিবর্তন আনা যায়। পরিকল্পনার অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী স্যারের সহযোগিতায় সকল চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সকলের সার্বিক সহযোগিতায় আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি সেবার মান বৃদ্ধিসহ হাসপাতালের উন্নয়ন এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে।

 

 

 

একুশে সংবাদ/এস.হো/এস.আই
 

Link copied!