AB Bank
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

শাহজাদপুরে নদী ভাঙনে ঘর বাড়ী হারানোদের নেই ঈদ আনন্দ


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি,সিরাজগঞ্জ
০৩:২৫ পিএম, ৫ জুলাই, ২০২২
শাহজাদপুরে নদী ভাঙনে ঘর বাড়ী হারানোদের নেই ঈদ আনন্দ

ছবি: সংগৃহীত

যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় গত এক সপ্তাহে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গালা ইউনিয়নের মাজ্জান, ফকিরপাড়া ও বিনোটিয়া গ্রামের ৪টি পয়েন্টে তীর সংরক্ষণ বাঁধ ধসে ২০টি ঘরবাড়ি যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। 

সর্বস্ব হারানো এ সব মানুষ কোনো উপায় না পেয়ে পাশের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। বিলীন হয়ে যাওয়া বাড়িঘরের মানুষ পরনের কাপড় ছাড়া আর কিছুই উদ্ধার করতে পারেননি। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে এ ভাঙন এলাকায় বালু ভর্তি জিও বস্তা ফেললেও তা চাহিদার তুলনায় কম হওয়ায় এলাকাবাসী চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

বিনোটিয়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম, আব্দুল করিম, বেল্লাল হোসেন, রেজাইল করিম জানান, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ সংস্কার করা হয় না। ফলে বাঁধটি দুর্বল হয়ে এর বিভিন্ন স্থানে ধস শুরু হয়েছে। এরমধ্যে গত কয়েকদিন ধরে যমুনা নদীতে বন্যার পানি বৃদ্ধি শুরু হওয়ায় বিনোটিয়া গ্রামের ৫টি বাড়িঘর যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে শতাধিক ঘরবাড়ি ও বিনোটিয়া জামে মসজিদ। 

এদিকে ভাঙন আতঙ্কে এলাকাবাসীর খাওয়া ও রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সঠিক সময়ে ব্যবস্থা না নেয়ায় ফকিরপাড়া গ্রামের ৩টি পাকা ঘরবাড়ি যমুনা নদীগর্তে বিলীন হয়ে গেছে।

মাজ্জাম গ্রামের আবু জাফর, আবুল কালাম আজাদ, বারিকুল শেখ, ফুলমালা, কমলা খাতুন, সাবানি খাতুন, হালিমা খাতুন, জয়ফল খাতুন, রমিছা খাতুন ও সারমিন খাতুন জানান, এ গ্রামের ১২-১৪টি বসতঘর চোখের সামনে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ধান, চাল, খাট, আলমারিসহ মূল্যবান কিছুই ঘর থেকে বের করতে পারেনি। এক কাপড়ে ঘর থেকে বের হয়ে জীবন বাঁচিয়েছেন। এখন তারা বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়ে এক বেলা আধ বেলা খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন। ভাঙনে ঘরবাড়ী হারানো পরিবারগুলোর মাঝে নেই ঈদ আনন্দ।

তাদের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন স্থানে কিছু বালুর বস্তা ফেলেছে। কিন্তু তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। ফলে এ ভাঙন রোধ তো দূরের কথা ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে গত বছর নির্মিত মূল বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধই এখন হুমকির মুখে পড়েছে।

শাহজাদপুরের ইউএনও তারিকুল ইসলাম বলেন, বন্যা ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১.৬ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ঈদের আগে ক্ষতিগ্রস্তদের  শুকনো খাবার দেওয়া হবে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ঐ এলাকায় বস্তা ফেলার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে। 


 

 

একুশে সংবাদ/এম.হা/এস.আই

Link copied!