AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কিডনি রোগে আক্রান্ত রাশি বিনাচিকিৎসায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি, নেত্রকোণা
০৫:৩০ পিএম, ১০ মে, ২০২২
কিডনি রোগে আক্রান্ত রাশি বিনাচিকিৎসায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে

ছবি: সংগৃহীত

দরিদ্র ভেন চালক বাবার ১৬ বছর বয়সী মেয়ে রাশি আক্তার।স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া করে চাকরী করবে।২০২১ সালে এসএসসি পাস করলেও কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ হয়নি।গত এক বছর আগে তার দুই কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। টাকা না থাকায় চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে রাশি আক্তার।শয্যাশায়ী অবস্থায় ব্যাথ্যার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে বার বার বিষ চাইছে তার মায়ের কাছে। 

মঙ্গলবার সকাল থেকে রাশি আক্তারের ব্যাথ্যার যন্ত্রনায় ছটপট করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।খোজ নিয়ে জানা গেছে, নেত্রকোনার মদন উপজেলার তিয়শ্রী  ইউনিয়ের বালালী গ্রামের দরিদ্র ভেন চালক মোলামিন মিয়ার মেয়ে রাশি আক্তার।২০২১ সালের বালালী বাঘমারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে।কলেজে ভর্তি হওয়ার আগে অসুস্থ হয়। ডাক্তারের কাছে গেলে জানতে পারে রাশির দুইটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। 

পরিবারের সামান্য ভিটেমাটি ছাড়া যেটুকু জমি ও গবাদিপশু ছিলো সব বিক্রি করে এতোদিন চিকিৎসার খরচ চালিয়েছেন ভ্যান চালক বাবা।বর্তমানে টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছেন না। ঋণ করে একদিকে চিকিৎসা খরচ অন্যদিকে সাংসারিক খরচ চালাতে গিয়ে এখন দিশেহারা ভ্যান চালক বাবা মোলামিন।

সপ্তাহে দুইদিন এ পজেটিভ রক্ত দিতে হয়।এতে প্রতি সপ্তাহে  যাতায়তসহ খরচ হয় ২ হাজর ৫০০ টাকা।এছাড়াও একদিন পর পর ডায়ালাইসিস করাতে হয়।সেখানেও সপ্তাহে খরচ হয় ৫ হাজার টাকা।এক বছর যাবৎ ব্যয় বহুল চিকিৎসা খরচ মিটিয়ে এখন পরিবারটি নিস্ব।টাকার অভাবে এখন আর উন্নত চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না।বর্তমানে মেয়েটি নিজ বাড়িতেই শয্যাশায়ী হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। 

মেয়েটির মা রিপনা বেগম বলেন, গত কয়েক দিন ধরে আমার মেয়ে আর বিছানা থেকে উঠতে পারছে না।ব্যাথ্যার যন্ত্রণা ছটপট করছে আর আত্মহত্যা করতে বার বার আমার কাছে বিষ চাইছে।মেয়ের কষ্ট এখন আমিও সহ্য করতে পারতেছি না। 
 
বাবা মোলামিন মিয়া জানান, মেয়ের চিকিৎসার জন্য যা সম্ভল ছিল সব বিক্রি করে দিয়েছি। মানুষের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা খরচ করেছি।চিকিৎসার জন্য টাকা যোগার করা এখন আর সম্ভব হচ্ছে না। 

তিনি আরো জানান, এক দিকে মেয়েটি অসু্স্থ। অন্য দিকে ভেন চালকের কাজও ঠিক মতো জুটে না।চিকিৎসার অভাবে আমার মেয়েটি দিন দিন দূর্বল হয়ে যাচ্ছে।আমার মেয়েকে বাচাঁতে অনেক টাকার প্রয়োজন।তাই উপজেলা প্রশাসন,জেলা প্রশাসন, ও দেশে বিদেশে বিত্তশালীরা যদি আমার মেয়ের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা করেন তাহলে হয়তো তাকে বাঁচানো সম্ভব হবে।  

 

একুশে সংবাদ/সা.খা/এস.আই


 

Link copied!