AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

শরণখোলায় ঝুঁকিপূর্ণ ও অরক্ষিত ভবনে চলছে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের কার্যক্রম


Ekushey Sangbad
উপজেলা প্রতিনিধি
১২:৪০ পিএম, ২৫ জানুয়ারি, ২০২২
শরণখোলায় ঝুঁকিপূর্ণ ও অরক্ষিত ভবনে চলছে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের কার্যক্রম

ছবি একুশে সংবাদ

শরণখোলা প্রতিনিধি :ছাদ ও দেয়ালের ফাঁটলে জন্ম নিয়েছে বটগাছ সহ বিভিন্ন প্রজাতির আগাছা। ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারা খসে রডগুলোও দৃশ্যমান। দলিলপত্র সহ ভলিয়ম বুক (বালাম) সংরক্ষনের জন্য নিরাপদ কোন কক্ষ না থাকায় রেকর্ড রুমের গুরুত্বপূর্ণ নথি নষ্ট হবার পাশাপাশি ঝুকিপূর্ণ ভবনে চলছে বাগেরহাটের শরণখোলা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের কার্যক্রম।

সম্প্রতি রেজিষ্ট্রেশন কার্য্যক্রম চলাকালীন ছাদের বিশাল একটি পলেস্তারা খসে পড়লে অল্পের জন্য রক্ষা পান সাব-রেজিষ্টার মো. আবু রায়হান সহ জমির দলিল রেজিষ্ট্রি করতে আসা সেবা গ্রহীতারা। বড় ধরনের দূর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা সহ নিরাপদ ও স্থায়ী কোন ভবনে রেজিষ্ট্রি অফিসের কার্যক্রম চালু না হওয়া পর্যন্ত ভাড়াকৃত ভবনে অফিসটি স্থানান্তরের দাবী জানিয়েছেন দলিল লেখক সহ সেবা গ্রহীতারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শরণখোলা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস হিসেবে ব্যবহৃত ভবনটি আশির দশকে তৎকালীন এরশাদ সরকারের আমলে উপজেলা আদালত ভবন হিসেবে নির্মিত হয়। ১৯৯২ সালের দিকে উপজেলা ভিত্তিক আদালতের কার্য্যক্রম বন্ধ হবার পরে ওই ভবনের পাঁচটি কক্ষ সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ভবন নির্মানের চার দশকেও উল্লেখযোগ্য কোন সংস্কার কাজ না হওয়ায় ভবনটি বর্তমানে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ৫/১০ মিনিট বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইয়ে এজলাস, অফিস কক্ষ ও রেকর্ড রুমে পানি পড়তে শুরু করে। যার কারনে রেকর্ড রুমের গুরুত্বপূর্ন নথি সংরক্ষনে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।

এ ব্যাপারে শরণখোলা দলিল লেখক সমিতির সাধারন সম্পাদক ও ইউপি সদস্য জালাল আহমেদ রুমী বলেন, রেজিষ্ট্রি অফিস ভবনের অবস্থা খুবই নাজুক। যেকান মুহুর্তে বড় ধরনের অঘটন ঘটতে পারে। তাই ব্যাংক সংলগ্ন এলাকায় রেজিষ্ট্রি অফিস স্থানান্তর করতে পারলে জনগনের ভোগান্তি কমবে। এছাড়া আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই অফিসটি অন্যত্র স্থানান্তর করার দাবি জানান তিনি।

সাব-রেজিস্ট্রার মো. আবু রায়হান জানান, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ন হওয়ায় যেকোন মুহুর্তে সমস্যা হতে পারে। ইতিপূর্বে এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজগর আলী বলেন, অনেক বছরের পুরোনো ভবনে রেজিষ্ট্রি অফিসের কার্যক্রম চলছে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণের বিষয়টি নজরে এসেছে। সাব-রেজিষ্ট্রারের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে অবহিত করা হবে।


একুশে সংবাদ/মাসুম বিল্লাহ/এইচ আই

Link copied!