AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সখীপুর পোষ্টমাস্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৯:১৬ পিএম, ৭ ডিসেম্বর, ২০২১
সখীপুর পোষ্টমাস্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ছবি: একুশে সংবাদ

সখীপুর প্রতিনিধি : টঙ্গাইলের সখীপুরে পোষ্টমাস্টারের বিরুদ্ধে সঞ্চয়পত্রের টাকা উত্তোলনে নানা ভোগান্তিসহ অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে।

গেলো কয়েকদিনে বেশ কয়েকজন সঞ্চয়পত্র গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। কয়েকজন গ্রাহক পোস্টমাস্টার জেনারেল কেন্দ্রীয় সার্কেল বরাবর লিখিত অভিযোগও করেছেন বলেও জানিয়েছেন। এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা বেশ কয়েকজন মৌখিক অভিযোগ পেয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। লিখিত অভিযোগ হাতে পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রায় তিনমাস আগে সখীপুর পোস্টঅফিসে দেলোয়ার হোসেন পোস্টমাস্টার হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ও মেয়াদ শেষ (ম্যাচিউর) হওয়ার পর আসল টাকা উত্তোলনে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে গ্রাহকদের। নিয়ম বহির্ভূতভাবে মুনাফা থেকে টাকা কেটে রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া মেয়াদ শেষে আসল টাকা উত্তোলনেও প্রতিজন গ্রাহকের কাছ থেকে দুই থেকে চার হাজার টাকা করে রেখে দেওয়া হচ্ছে।

পার্শ্ববর্তী মির্জাপুর উপজেলার বংশী নগর এলাকার রওশন আরা জানান, সখীপুর উপজেলা পোস্ট অফিসে তাঁর তিন বছর মেয়াদি পনেরো লাখ টাকার একটি সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষ (ম্যাচিউর) হয়েছে। দুই মাস আগে টাকা উত্তোলনের জন্য বই জমা দিয়েছিলেন। পোস্টমাস্টার প্রথমে দুই হাজার, পরে টাকার অংক বেশি বলে চার হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় টাঙ্গাইল পোস্ট অফিস থেকে বই নিয়ে আসতে হবে বলে জানান। পরে বইয়ের জন্য টাঙ্গাইল গিয়ে জানা যায়, ওই বইটি বেশ কয়েকদিন আগেই সখীপুরের পোস্টমাস্টার নিজে সই করে নিয়ে এসেছেন। রওশন আরা আরও বলেন, টাকার জন্য সখীপুর পোস্ট অফিসে গেলে পোস্টমাস্টার তাঁকে নানাভাবে কটূক্তি করেন।

উপজেলার তক্তারচালা গ্রামের পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের গ্রাহক রেবেকা সুলতানা পোস্টমাস্টার জেনারেল কেন্দ্রীয় সার্কেল বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, সঞ্চয়পত্রের মুনাফা থেকে তিনি প্রতিমাসে ১২ হাজার ৯৬ টাকা পান। নতুন পোস্টমাস্টার প্রতি মাসেই ওই ৯৬ টাকা হাতে কেটে রেখে দিচ্ছেন। প্রতিবাদ করলেই তিনি গালিগালাজ শুরু করেন।

একই রকম অভিযোগ করেন উপজেলার আড়াাইপাড়া গ্রামের রোজিনা (৩২) নামের এক সঞ্চয়পত্রের গ্রাহক। প্রতিমাসে পোস্ট অফিসের ৩ হাজার ৬৪৮ টাকায় তাঁর সংসার চলে। কিন্তু পোস্টমাস্টারের অসৌজন্যমূলক আচরণে কেঁদে কেঁদে বের হচ্ছিলেন রোজিনা।


উপজেলার বগা প্রতিমা গ্রামের শিউলী আক্তার ও বাঘেরবাড়ি গ্রামের নার্গিস আক্তারও ওই পোস্ট মাস্টারের বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ তুলেন।

এ বিষয় জানতে চাইলে টাঙ্গাইলের ডিপুটি পোস্টমাস্টার মো. ওমর ফারুক বলেন, সখীপুর পোস্টমাস্টারের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে ওই পোস্টমাস্টারকে ডেকে এনে এ বিষয়ে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

তবে লিখিত কোন অভিযোগ এখনো হাতে পাইনি। গ্রাহক হয়রানি ও গ্রাহকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে থাকলে সংশ্লিষ্ট পোস্টমাস্টারের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে সখীপুর ডাকঘরের পোস্টমাস্টার দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সত্য নয়। সারাদেশের পোস্ট অফিসগুলোতেই টাকার সঙ্কট রয়েছে। প্রতিদিন অনেক লোকজন এসে টাকার জন্য ভিড় করেছেন। অনেককে-ইই সময়মতো টাকা দিতে পারছিনা বলে কেউ কেউ আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা অভিযোগ করছেন।


একুশে সংবাদ/ন/হাফিজ

Link copied!