রাজিব শর্মা, চট্টগ্রাম: দেশের বিভিন্ন স্থানের মঠ, মন্দির, পূজামণ্ডপে হামলার প্রতিবাদে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বানে চট্টগ্রামে সকাল থেকে চলছে গণঅনশন ও বিক্ষোভ সমাবেশ।
আজ শনিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে নগরের আন্দরকিল্লা মোড়ে এ সমাবেশ শুরু হয়। এতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে যোগ দেয় লাখো মানুষ।
সমাবেশে উপস্থিত বক্তারা বলেন, ‘কুমিল্লাকান্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে যেভাবে সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে, তা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। হিন্দুরা ভয়ঙ্করভাবে বৈষম্যের স্বীকার। দেশের একজন নাগরিক হিসেবে যে অধিকার থাকার কথা, হিন্দুদের তা নেই। হিন্দুরা দেশে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে বাঁচতে চায় না। তারা বাকস্বাধীনতা ও নিজেদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে পালন করতে চায়। একটি চক্র দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে। তা আজ প্রকাশ্য। সরকারকে দ্রুত এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’
তারা আরও বলেন, ‘আজকে কেউ সরকার কিংবা কারও বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করলেই ডিজিটাল আইনে মামলা হয়। কিন্তু এক শ্রেণির বক্তা বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে যেভাবে সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কোনোরকম ব্যবস্থা নেয়নি। অথচ এসব উস্কানিমূলক বক্তব্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। তা নিয়ে কেউ মত প্রকাশ করলেই উল্টো তাকে মামলা দেওয়া হচ্ছে। ’
এসময় বক্তারা সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স ঘোষণা দ্রুত বাস্তবায়নে সর্বস্তরের জনগণের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
এদিকে, সমাবেশ শেষে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্তের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করার কথা রয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘সমাবেশে যেন কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা না হতে পারে তার জন্য ভোর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করতে দেওয়া হচ্ছে না।
একুশে সংবাদ / আরএস/এএমটি
আপনার মতামত লিখুন :