AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আতংকে নির্ঘুম রাত কাটছে কক্সবাজার নার্সিং ইনস্টিটিউটের ১০০ শিক্ষার্থীর


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি
০১:৩৭ পিএম, ২১ অক্টোবর, ২০২১
আতংকে নির্ঘুম রাত কাটছে কক্সবাজার নার্সিং ইনস্টিটিউটের ১০০ শিক্ষার্থীর

কক্সবাজার নার্সিং ইনস্টিটিউটে রয়েছে ১০০ ছাত্রী। যারা হোস্টেলে থেকে ক্লাস করেন। পাশাপাশি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ইন্টার্ন নার্স হিসেবে কাজও করেন। এতে করে আতংকে নির্ঘুম রাত কাটছে কক্সবাজার নার্সিং
ইনস্টিটিউটের এসব শিক্ষার্থীদের।

বুধবার (২০ অক্টোবর) রাতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে ইনস্টিটিউটের বারান্দায় ও গেইটে বসে রাত কাটাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। 

এর আগেও গত দুই দিন ধরে কক্সবাজার নার্সিং ইনস্টিটিউটে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে দফায় দফায় বিস্ফোরণ ঘটলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ এমন অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। বিস্ফোরণে ঘটনায় আতঙ্কে অন্ততঃ পাঁচ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে।

কক্সবাজার সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়া পাঁচ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরা হচ্ছে- রেওশা, জাফরিন, রশনি ও জারা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মঙ্গলবার থেকে দফায় দফায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে বিস্ফোরণ ঘটছে। বিস্ফোরণের পরপর আগুন ধরে যায় বৈদ্যুতিক পাকা, লাইট, সুইচে। যা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা। সেই রাতও না ঘুমিয়ে কেটে গেছে। কিন্তু বুধবার (২০ অক্টোবর) রাতে আবারও কয়েক দফায় বিস্ফোরণ ঘটে। সেই থেকে রাতে ইনস্টিটিউটের বারান্দায় অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী বলেন, দুই দিন ধরে পাঁচজন হাসপাতালে ভর্তি। কয়েক দফা বিস্ফোরণের পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সবাই আতঙ্কে রয়েছে। এতো করে বলার পরও মেরামত না করে আমাদের মৃত্যুমুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।

সাদিয়া নামে এক শিক্ষার্থী তার ফেসবুকে লিখেন, হোস্টেলের গেটে রাত জেগে বসে আছি। কখন কোন দিকে আবারও বিস্ফোরণ হয়। এতগুলো মেয়ের জীবনের নিরাপত্তা নেই। 

জাহানারা নামে আরও একজন শিক্ষার্থী লিখেন, মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে অনুভব করছি। কখন কীভাবে মৃত্যু হবে বুঝতে পারছি না। যেভাবে বিস্ফোরণ ঘটছে।

এ বিষয়ে জানতে কক্সবাজার নার্সিং ইনস্টিটিউটের সুপার করুনা রাণী বেপারীর সাথে যোগাযোগের জন্য একাধিকবার কল দিয়েও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


একুশে সংবাদ/শা/বা

Link copied!