AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

পুলিশ সুপারের মধ্যস্ততায় জোড়া লাগলো ভাঙ্গা সংসার


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৭:৪০ পিএম, ৬ অক্টোবর, ২০২১
পুলিশ সুপারের মধ্যস্ততায় জোড়া লাগলো ভাঙ্গা সংসার

কথায় বলে ভাঙ্গা কাঁচ আর ভাঙ্গা মন কখনও জোড়া লাগে না। কিন্তু সেই অসাধ্যকে সাধন করে চলেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মো.জাহিদুল ইসলাম। চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে অসংখ্য ভাঙ্গা সংসার জোড়া লাগিয়ে তাক সৃষ্টি করেছেন তিনি।পুলিশ সুপারের মধ্যস্ততায় অনেক নির্যাতিত,নিপীড়িত ও অসহায় মেয়েরা ফিরে পেয়েছেন তাদের সুখের সংসার। সন্তানেরা ফিরে পেয়েছে তাদের স্থায়ী ঠিকানা।

 

আজ বুধবার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মনিরামপুর গ্রামের মো.আসলাম হোসেনের কন্যা রজনী খাতুনের ভাঙ্গা সংসার জোড়া লাগিয়ে দিয়েছেন পুলিশ সুপার। চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মনিরামপুর গ্রামের মাস্টার পাড়ার মো.আসলাম হোসেনের মেয়ে রাজনী খাতুনের এর সাথে ৫ বছর পূর্বে একই জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার গাংনী গ্রামের মো. মুনতাজ আলীর ছেলে মো.রফিকুল ইসলাম (২৪) এর ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ হয়।

তাদের সংসার জীবনে ফুটফুটে একটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের কয়েক বছর পর হতে যৌতুকের দাবিতে রফিকুল ইসলাম তার স্ত্রী রজনী খাতুনের সাথে পারিবারিক কলহে জড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে রফিকুল রজনী খাতুনকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। রজনী খাতুন যৌতুক দিতে ব্যার্থ হওয়ায় রফিকুল তাকে তালাক দেয়। সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে রফিকুল ও রজনী পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।

কিছুদিন না যেতেই রফিকুল তার স্ত্রীকে পুনরায় শরিরীক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। রজনী খাতুন বিভিন্ন জায়গায় তার সমস্যার সমাধান চেয়ে যোগাযোগ করেও কোন সমাধান না পেয়ে। অবশেষে তার অসহায়ত্ব থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য তার মা মোছা. ময়না খাতুনকে সাথে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আসেন।

পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম উক্ত বিষয়টির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তার কার্যালয়ে অবস্থিত “উইমেন সাপোর্ট সেন্টার” এর দায়িত্ব প্রাপ্ত এএসআই (নিরস্ত্র) মিতা রানী  কে দায়িত্ব দেন। দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ উভয় পক্ষকে আজ বুধবার(৬ অক্টোবর) পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করেন।

পুলিশ সুপা মো.জাহিদুল ইসলাম এর প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতায় মো. রফিকুল ইসলাম তার স্ত্রী মোছা. রজনী খাতুনের সাথে পুনরায় সংসার করতে ও সন্তানের ভরণ পোষন দিতে সম্মত হয়। অবশেষে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে রজনী খাতুন ফিরে পেল তার সুখের সংসার। চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপারের এমন মানবিক কাজর জন্য তিনি ইতিমধ্যেই জেলাবাসির কাছে মানবিক পুলিশ সুপার হিসেবে পরিচিত পেয়েছেন।

 

একুশে সংবাদ/নি/আ

Link copied!