AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

নামছে পানি, বাড়ছে দূর্ভোগ: ত্রাণ সহায়তা বাড়ানো দাবী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৩:৫৪ পিএম, ৩১ জুলাই, ২০২১
নামছে পানি, বাড়ছে দূর্ভোগ: ত্রাণ সহায়তা বাড়ানো দাবী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের

কক্সবাজারে টানা ভারি বর্ষণে সৃষ্ট বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। এতে ভেসে উঠছে ক্ষত চিহ্ন। বন্যায় ফসলির জমির পাশাপাশি গ্রামীণ সড়কগুলো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুর্গত এলাকায় বসবাসরত মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের সংকট। মানুষের চাহিদার তুলনায় খাদ্য সহায়তা এবং ত্রাণ তৎপরতা অপ্রতুল বলে জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

কক্সবাজার জেলায় ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে চকরিয়া, রামু, কক্সবাজার সদর, টেকনাফ এবং উখিয়ার ৫১ টি ইউনিয়নের আড়াই লাখ মানুষ পানিতে ডুবে আছে। এসব এলাকায় খাদ্য সংকটে পড়েছে বন্যার্ত মানুষেরা। চলছে বিশুদ্ধ পানীয় জলের তীব্র সংকট। ফলে বন্যা দুর্গত এই মানুষ গুলো পড়েছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে।

কক্সবাজার সদর উপজেলা পিএমখালী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার নুরুল হুদা বলেন, বাংলাবাজার নয়াপাড়া, ডিকপাড়া, স্লুইস গেইট এলাকার অন্তত ২ শতাধিক ঘরে পানি উঠেছিল। এখন পানি নেমেছে তবে খাবার নেই অনেক পরিবারে। এলাকার বেশির ভাগ মানুষ দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষ। ত্রাণ সহায়তা বলতে কিছু শুকনো খাবার পেয়েছিলাম। 

ঈদগাঁও জালালাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাসেদ বলেন, আমার ইউনিয়নের অন্তত ৫০ হাজার মানুষ পানি বন্ধি,পানি কিছুটা নামলেও এখনো অনেক মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছেনা। এছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থার চরম অবনতি হয়েছে। ফলে মানুষ কাজে কর্মেও যেতে পারছেনা। সত্যি কথা বলতে অনেক মানুষ ফোন করলে বলছে খাবার ভাগাভাগি করে খাচ্ছে তারা। আর ত্রাণ সহায়তা বলতে তেমন কিছুই পায়নি।  আমার মতে ত্রাণ সহায়তার চেয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্রুত উন্নতি করাটা এখন বেশি জরুরী।

চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, বন্যায় আমাদের ৭/৮ টি ইউনিয়ন বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে এলাকার মানুষের মধ্যে খাবার পানি সহ খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। আমি ব্যাক্তিগত পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ৫ হাজার মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছি। সরকারের পক্ষ থেকে যে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে তা খুবই অপ্রতুল। মানুষের এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে যাতায়ত ব্যবস্থা। আমার মতে, আগে সেগুলোর দিকে নজর দেওয়া দরকার। 

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানান, বন্যা কবলিত এসব মানুষের জন্য ৩০০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বরাদ্দ আরও বাড়ানো হবে। সরকারের পাশাপাশি যার যার অবস্থান থেকে বন্যা কবলিত মানুষের পাশে এগিয়ে আসতে হবে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে স্বাস্থ্য সেবা, রাস্তাঘাট, কৃষি, মৎস্য, লবণ, ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হবে।


/শাহাদত/প

Link copied!