AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

স্ত্রীকে হত্যাকারী স্বামী বাবুল মারা গেছে  


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৫:৩৩ পিএম, ১৫ জুলাই, ২০২১
স্ত্রীকে হত্যাকারী স্বামী বাবুল মারা গেছে   

নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার ৬নং কাবিলপুর ইউনিয়নের  ৮নং ওয়ার্ড সাদেকপুর গ্রামের ওয়ালী ভূঁইয়া বাড়িতে স্ত্রী তাহমিনা আক্তার ওরফে মিনা (৫৫)কে জবাই করে হত্যাকারী সেই ঘাতক স্বামী আবদুর রব ওরফে বাবুল ড্রাইভার (৬০) বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারাগেছে। বিষয়টি বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) বেলা সোয়া ১১টারদিকে নিশ্চিত করেছেন কমিল্লা কারাগারের কারারক্ষী মোঃ সুমন।

বাবুল ড্রাইভারের মৃত্যুর সংবাদ বৃহস্পতিবার সকালে সেনবাগের গ্রামের বাড়িতে পৌছলে পরিবারের সদস্যদের মাঝে শুরু হয় শোকের মাতম।

এরআগে বাবুল ড্রাইভার নোয়াখালী কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় উচ্চ ডায়াবেটিকস সহ বিভিন্ন সমস্যায় অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে কারাগার থেকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত (১৮ জুন) কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানের চিকিৎসার্ধীন অবস্থায়  বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাত ১২টা ৩৪মিনিটের সময় তার মৃত্যু হয়। সেখানে লাশের ময়না তদন্তের পর লাশ পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করা হবে। লাশ গ্রহনের জন্য নিহত আবদুর রব বাবুল ড্রাইভারের ছোট ছেলে তারেক, প্রতিবেশী রায়হান চৌধুরী ও বাবু  কুমিল্লার উদ্যেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন।

জানাগেছে, বিগত ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ইং পারিবারিক বিরোধের জেরে নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের  ৮ নং ওয়ার্ড সাদেকপুর ওয়ালী ভূঁইয়া বাড়িতে সকাল ১০টারদিকে স্বামী আবদুর রব ওরফে বাবুল ড্রাইভার তার স্ত্রী, দুই সন্তানের জননী তাহমিনা আক্তার ওরফে মিনা ( ৫৫) কে গোসল খানার সামনে এলোপাথাড়ী কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে। এরপর এলাকাবাসী ঘাতক স্বামী আবদুর রব ওরফে বাবুল ড্রাইভারকে আটক করে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আবদুর  রব ওরফে বাবুল ড্রাইভারকে গ্রেফতার করে এবং হত্যাকান্ডের ব্যবহৃত একটি ধারালো চোরা উদ্ধার করে।

এরপর নিহতের  ছোট ছেলে তারেক মা হত্যার অভিযোগে পিতাকে একমাত্র আসামী করে সেনবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। এতদিন আবদুর রব ওরফে বাবুল ড্রাইভার নোয়াখালী কারাগারে বন্দী হিসাবে ছিলো। নিহত আবদুল রব ড্রাইভারের বড় বোন সামছুন নাহার ওরফে মিনু (৭০) ও মেঝ বোন দেলোয়ারা বেগম (৬৫) কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, জেল থেকে ভাইয়ের সঙ্গে গত ১৫/২০দিন আগে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছিলো। সে সময় বাবুল ড্রাইভার জেলের খাবার ভালোনা বলে সে বাহির থেকে খাবার খাওয়ার জন্য টাকা চাইলে তিনি দুই হাজার ও প্রবাসে থাকা ভাতিজা বাবুল ড্রাইভারের বোড় ছেলে বাবার জন্য ৬ হাজার টাকা পাঠান।

 

একুশে সংবাদ/সামছু/ব

Link copied!