কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ থেকে থেকে পঞ্চম দফায় আরও চার হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচর যাচ্ছেন। এদের মধ্যে ২ হাজার ২৬০ জন রওনা হয়েছেন গন্তব্যে। আজ বুধবার (৩ মার্চ) চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে তাদেরকে নিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে নৌ বাহিনীর ৬টি জাহাজ।
এর আগে গতকাল (মঙ্গলবার) টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে বাসযোগে চট্টগ্রামে বিএএফ শাহীন কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পে রাখা হয় রোহিঙ্গাদের। সেখানে রাত্রিযাপন শেষ বুধবার ভাসানচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে তারা।
ভাসানচরে যাওয়া রোহিঙ্গারা বলছেন, টেকনাফ-উখিয়ার ক্যাম্পগুলোতে বসবাসের তেমন সু-ব্যবস্থা না থাকায় স্বেচ্ছায় তারা ভাসানচরে যাচ্ছে। এর আগে তাদের যেসব আত্মীয়-স্বজন ভাসানচরে গেছেন তাদের সঙ্গে কথা বলে সেখানে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝিরা বলেন, আগের চার দফা সফল যাত্রার পর ভাসানচর যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গারা স্ব-স্ব ক্যাম্প ইনচার্জ কার্যালয়ে নাম জমা দিচ্ছে। ভাসানচরের পরিবেশ, থাকা খাওয়ার সুবিধা সম্পর্কে ব্রিফিং করার পরও যারা যেতে রাজি হচ্ছে তাদের নিবন্ধনের মাধ্যমে ভাসানচর স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে।
কক্সবাজারের আরআরআরসি কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার দফায় কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে ৯ হাজার ৫শ' ৪০ জন রোহিঙ্গা। প্রথম দফায় গত ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে গেছেন। এরপর ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপে যান ১ হাজার ৮০৫ জন ও তৃতীয় ধাপে দুইদিনে ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি ৩ হাজার ২০০জন রোহিঙ্গাদের ভাসানচর স্থানান্তর হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম দিন ২ হাজার ১৪জন ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ৮৭৯জন রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশ্যে উখিয়া কলেজের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প ত্যাগ করে।
ক্যাম্পে আশ্রয়ে থাকাদের মাঝ থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচর স্থানান্তর করার পরিকল্পনায় কাজ করছে সরকার।
একুশেসংবাদ/অমৃ
আপনার মতামত লিখুন :