AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

শরণখোলায় ইএফটির ফরম পুরনে অর্থ বানিজ্য!


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৮:৩৮ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
শরণখোলায় ইএফটির ফরম পুরনে অর্থ বানিজ্য!

বাগেরহাটের শরনখোলায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার তহবিল হস্তান্তরের অনলাইনে ফরম পুরনের নামে অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা হিসাব রক্ষন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ইএফটির মাধ্যমে নিজ নিজ তহবিলে হস্তান্তরের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গত ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে আদেশ প্রদান করেন। তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ১১৪টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক শিক্ষকদের ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের বেতন হস্তান্তরের জন্য (ইএফটির) ফরম পুরনের অনলাইন কার্যক্রম শুরু করেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। সকল শিক্ষকদের ফরম অনলাইনে পুরন করার জন্য ১নং ধানসাগর ও ৪নং সাউথখালী ইউনিয়নের দায়িত্ব পান সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান পাইক এবং ৩নং রায়েন্দা ইউনিয়নের দায়িত্ব পান সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মি. রতন কুমার বল এবং ২নং খোন্তাকাটা ইউনিয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মি. বিধান চন্দ্র রায়কে। এ সুযোগে সংশ্লিষ্টরা তাদের পছন্দের লোক নিয়োগ করে অনলাইনে ফরম পূরণ কার্যক্রম আরম্ভ করেন। আর এ জন্য অফিস খরচ বাবদ প্রতি শিক্ষকের কাছ থেকে পাঁচশত টাকা আদায় শুরু করেন।
অপরদিকে, চাকুরীতে যোগদানের সময় সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের শিক্ষা অফিসে জমা করা কাগজপত্রে কিছুটা ত্রুটি থাকায় তা ঠিক করে দেয়া সহ ফরম পুরনের জন্য শিক্ষা কর্মকর্তার পাশাপাশি উপজেলা হিসাব-রক্ষন কর্মকর্তাকে খুশি করার নামে শিক্ষা অফিসের সাথে সংশ্লিষ্ট অফিস সহকারীরা বিভিন্ন অযুহাতে শিক্ষকদের নিকট থেকে উৎকোচ নিয়ে থাকে ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে, উপজেলার কয়েকজন শিক্ষক জানান, অনলাইনে ইএফটি ফরম পুরনের ক্ষেত্রে কোন প্রকার টাকা পয়সা গ্রহন করা যাবে না মর্মে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আদেশ থাকলেও তা উপেক্ষা করে চলছে শিক্ষা কতর্মকর্তা মো. আশ্রাফুল ইসলাম। তাছাড়া অনলাইনে একটি ফরম পুরনে সর্বোচ্চ ৫০/৬০টাকার বেশি  খরচ লাগার কথা নয়। অথচ তারা বৈঠক করে জনপ্রতি ৫শত টাকা ধার্য করে কিন্তু তার পরেও পুনরায় আলমগীর ও জাকির স্যার ভুল ত্রুটির অজুহাত দেখিয়ে শিক্ষা কর্তা সহ হিসাব কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে এক হাজার টাকা করে আদায় আরম্ভ করেন। এমনকি টাকা ছাড়া সাধারন শিক্ষকদের কোন কথা শিক্ষা অফিস সংশ্লিষ্টরা যেন শুনতেই চান না। এ ধরনের নানা হয়রানির হাত থেকে আমরা মুক্তি চাই।

উপজেলা হিসাব-রক্ষন কর্মকর্তা মো. নুরুল আমীন বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। আমার নামে যারা টাকা দিয়েছেন তারা অভিযোগ দিলে ওই দালাল চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশ্রাফুল ইসলাম জানান, ইএফটির ফরম পুরনে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। কম্পিউটারে দক্ষ এমন ৬ জন শিক্ষককে সকল ফরম পুরনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কাজ শেষ হলে ওই কপি হিসাব বিভাগে দিবে সেখান থেকে তারা অধিদপ্তরে পাঠাবে। যারা কাজ করছেন হয়তো তাদেকে কিছু খরচ দিতে হবে। আর কার্যক্রম কেবল শুরু হয়েছে সেখানে অর্থ বানিজ্য হয়েছে কথাটি সঠিক নয়।


একুশে সংবাদ/ম/আ

Link copied!