AB Bank
ঢাকা বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

দুর্নীতি ঢাকতে সাংবাদিকদের ১৫ লাখ টাকার প্রকল্প উপহার!


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৯:৫৭ এএম, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
দুর্নীতি ঢাকতে সাংবাদিকদের ১৫ লাখ টাকার প্রকল্প উপহার!

সুনামগঞ্জের শাল্লায় হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের প্রকল্প গ্রহণ, বাস্তবায়ন ও অনুমোদনে চরম দুর্নীতি ও অনিয়ম শুরু হয়েছে। প্রকল্প গ্রহণের ধাপে ধাপে দুর্নীতির কারণে কাজ শুরু করতে এবার বিলম্ব হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড নিজেদের দুর্নীতি আড়াল করতে অলিখিতভাবে কয়েকজন আজ্ঞাবহ সাংবাদিক নিয়োগ দিয়েছে। ভা-াবিল হাওর উপ-প্রকল্পে ১৫ লাখ ৮ হাজার টাকার প্রকল্প উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে সাংবাদিকদের। এ নিয়ে গোটা উপজেলায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।

জানা গেছে শাল্লায় হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পে নিয়োজিত রয়েছে উপজেলা কাবিটা মনিটরিং ও বাস্তবায়ন কমিটি। এতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মোক্তাদীর হোসেন ও সদস্য সচিব হিসেবে আছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারি প্রকৌশলী আব্দুল কাইয়ুম। ৫ সদস্যের এই কমিটিতে অন্যরা আছেন নাম সর্বস্ব। সব সিদ্ধান্তই নেন এই দুই কর্মকর্তা। গণশুনানী করে বাঁধ এলাকার প্রকৃত কৃষকদের প্রকল্প কমিটিতে রাখার সরকারি নির্দেশনা থাকলেও সেটা করেননি তাদের কেউ। তাই নীতিমালা অনুযায়ী প্রকল্প গ্রহণ, অনুমোদন ও বাস্তবায়ন হয়নি বলে কৃষকদের অভিযোগ।

জানা গেছে উপজেলা কমিটি দুর্নীতি, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও নীতিমালা বিরোধী প্রকল্প গ্রহণ করায় স্থানীয় সাংবাদিক বিপ্লব রায়, শান্তকুমার দাস, আনিসুল হক মুনসহ তাদের বলয়ের কয়েকজন সাংবাদিক অনিয়ম নিয়ে সংবাদ তৈরির হুমকি দেন। তাদের মুখ বন্ধ করতে এবং বাঁধের কাজের দুর্নীতি আড়াল করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারি প্রকৌশলী আব্দুল কাইয়ুম কৌশলে এই সাংবাদিকদের ১৫ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্প উপহার হিসেবে দান করেন। এই প্রকল্পে বিপ্লব রায়কে সভাপতি ও শান্তকুমার দাসকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। তবে চতুর বিপ্লব রায় তার বদলে প্রকল্পে তার পিতা বরেন্দ্র রায়ের নাম অর্ন্তভূক্ত করেন। কমিটির অন্য সদস্য হলেন, সাংবাদিক আনিসুল হক মুন। তিনি সিলেটে একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত থাকলেও তার বলয়কে খুশি রাখতে তাকেও প্রকল্পে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এছাড়া প্রকল্পে ৫ জন সদস্য থাকার কথা থাকলেও একটি নাম খালি রাখা হয়েছে। এখানে সাংবাদিক বকুল তালুকদারকে সদস্য করা হবে বলে বিশ্বস্থ সূত্র জানিয়েছে। 

বিপ্লব সুনামগঞ্জ থেকে অনিয়মিত প্রকাশিত হিজল করচ নামের একটি দৈনিকের প্রতিনিধি। আনিসুল হক মুন সিলেটের আঞ্চলিক দৈনিক জালালালাবাদের প্রতিনিধি। শান্ত কুমারদাস বিভিন্ন নামসর্বস্ব অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ করে থাকেন।

কৃষক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুর্নীতি নিয়ে কোন পত্রিকায় কিছু প্রকাশিত হলে প্রকল্প উপহার পাওয়া এই সাংবাদিকরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে নির্লজ্জ প্রচারণায় নামেন। এভাবেই তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুর্নীতি ও অনিয়ম আড়াল করার অপচেষ্টা করছেন প্রতিনিয়ত।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুক্তিযোদ্ধা সন্তান বলেন, ১৩ নং প্রকল্প উপহার পাওয়া সাংবাদিকরা অতীতেও প্রশাসনের দুর্নীতি আড়াল করতে অপসংবাদ করেছেন। তারা স্থানীয় কোন সাংবাদিক কর্তৃক দুর্নীতি ও অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ করলে তারা সংঘবদ্ধভাবে দুর্নীতির পক্ষে নির্লজ্জভাবে সাফাই গান। এভাবে জোট বেধে তারা ফায়দা হাসিলের জন্য এসব অপকর্ম করছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারি প্রকৌশলী আব্দুল কাইয়ুম বলেন, সাংবাদিকদের প্রকল্প প্রদানের বিষযটি নিশ্চিত করে বলেন, প্রকল্প গ্রহণে কোন অনিয়ম হয়নি বলে জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদীর হোসেন বলেন, কোন অনিয়ম ও দুর্নীতি হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


একুশেসংবাদ/নাইম/অমৃ

Link copied!