AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সরাইলে ভাতা ভোগী ২ হাজার কার্ডধারীর হদিস নেই, টাকা উত্তোলন হয়েছে নিয়মিত


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০১:০১ পিএম, ২০ জানুয়ারি, ২০২১
সরাইলে ভাতা ভোগী ২ হাজার কার্ডধারীর হদিস নেই, টাকা উত্তোলন হয়েছে নিয়মিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় রাষ্ট্রীয় ভাতা ভোগী বয়স্ক বিধবা ও প্রতিবন্ধী দুই হাজার কার্ডধারীর খোঁজ মিলছে না। অথচ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে এসব কার্ডের বিপরীতে নিয়মিত ভাতার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে প্রত্যেক মাসে। উপজেলা সমাজসেবা দপ্তরের লোকজন গত কিছুদিন যাবত নানা উপায়ে চেষ্টা করেও এসব কার্ডধারীদের চিহ্নিত ও তাদের অবস্থান নিশ্চিত করতে পারেনি।

পরবর্তীতে খোদ এ দপ্তরের লোকজনই প্রশ্ন তুলছেন, বছরের পর বছর যাবত এসব কার্ডের বিপরীতে ভাতার টাকা তুলছে কারা? তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ব্যক্তিরা আনুষ্ঠানিক বিস্তারিত ব্যাখা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।

সরাইল উপজেলা সমাজসেবা দপ্তরের ফিল্ড সুপারভাইজার মো. রাকিব মিয়া এ প্রতিবেদককে বলেন, রাষ্ট্রীয় সকল ভাতা ভোগীদের ভাতার টাকা তাদের নিজস্ব মোবাইলে নির্বিঘ্নে পেতে সরকার অনলাইনে ভাতা পরিশোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশের ন্যায় সরাইল উপজেলার সকল ভাতা ভোগীদের তথ্য অনলাইনে এন্ট্রি দেয়ার কাজ চলছে। এখন অনলাইনে এন্ট্রি দিতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী দুই হাজার পাঁচজন কার্ডধারীর খোঁজই পাওয়া যাচ্ছে না। উপজেলার নয় ইউনিয়নের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাহায্যও নেয়া হয়েছে; কিন্তু ওনারাও (জনপ্রতিনিধি) এসব কার্ডধারীদের চিহ্নিত বা খোঁজ দিতে পারছেন না। অথচ এসব কার্ডের বিপরীতে জুলাই ২০২০ সাল পর্যন্ত ভাতার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখাগুলো থেকে। এ অবস্থায় এসব কার্ড বাতিল করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প উপায় নেই। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভাতা প্রদানকারী একাধিক ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখায় দায়িত্বপ্রাপ্তরা জানান, আমরা ভাতা ভোগীদের বই দেখে ভাতা প্রদান করি। অনেক ভাতার বই ব্যাংকে নিয়ে আসেন উপকার ভোগীর মনোনীত নমিনি; যাদের শনাক্ত করে সমাজসেবা দপ্তরের কর্মকর্তা লিখিত প্রত্যয়ন বা অনুমোদন দিয়ে রেখেছেন। এর বাইরে আমাদের এসবের কিছুই জানার কথা নয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের একাধিক জনপ্রতিনিধি জানান, কিছুদিন আগে সমাজসেবা দপ্তর থেকে আমাদের কাছে তালিকা পাঠিয়েছে। কিন্তু বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী কার্ডধারী অনেককে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। ঠিকানা অনুযায়ী সন্ধান করলে এ নামের লোকের অস্তিত্বই মিলছে না। আবার দেখা গেছে একজন ব্যক্তি অন্তত ১০—১২বছর যাবত নিয়মিত বয়স্ক ভাতা পেয়ে আসছে; কিন্তু এখন অনলাইন করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, দীর্ঘ বছর যাবত বয়স্ক ভাতা পাওয়া ব্যক্তির বর্তমান বয়স ৬০ বছরের কম! আবার অনেকের আইডি কার্ড নকল করে বয়স বাড়িয়ে ভাতার কার্ড করে টাকা তুলছেন।

এসবের কারণ উল্লেখ করে একাধিক ইউপি চেয়ারম্যান জানান, এসব ভাতার কার্ড বরাদ্দ এলে মূলত ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে সমহারে বন্টন করে দেয়ার নিয়ম। পরে ওয়ার্ড মেম্বার ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বাররা চেয়ারম্যানের সঙ্গে সমন্বয় করে এ তালিকা প্রণয়ন করার নিয়ম। এতে প্রকৃত উপকার ভোগীরা—এর সুফল পান। কিন্তু এখানে বিগত চারদলীয় জোট বিএনপি সরকারের আমল থেকে উপজেলায় ভাতার কার্ড এলেই সরকার দলীয় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের আলাদা বন্টন দিতে হয়। তারা এসব ভাতার কার্ডের বিপরীতে উপকার ভোগী বাছাইয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করেননি। অনেক সময়ে জনপ্রতিনিধিরাও জানতে পারেননা কারা এসব ভাতার কার্ড পেয়েছেন।

এদিকে সরাইল উপজেলা সমাজসেবা দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, এ পর্যন্ত উপজেলার নয় ইউনিয়নে বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন ৮হাজার ৯শ’৩৬জন, বিধবা ভাতা ২হাজার ৫শ’৫৫জন, অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ৪হাজার ৬শ’৩৬জন, প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি ১শত ৯৮জন, অনগ্রসর জনগোষ্ঠী শিক্ষা উপবৃত্তি ৫১জন, অনগ্রসর জনগোষ্ঠী ভাতাভোগী ১শত ৮৪জন ও হিজরা জনগোষ্ঠীর ৬জন ভাতা পাচ্ছেন।

একুশে সংবাদ/অমৃ

Link copied!