AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

পঞ্চগড়ে ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যুর ৩ মাস পর মামলা


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৩:২৯ পিএম, ১৪ জানুয়ারি, ২০২১
পঞ্চগড়ে ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যুর ৩ মাস পর মামলা

পঞ্চগড়ে জাহিদ হাসান (৯) নামের এক শিশুর রহস্যজনক মৃত্যুর ৩ মাস পর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে শিশুটির মা।

নিহত শিশু জাহিদ পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের পাহাড়বাড়ি এলাকার আল-আমিনের ছেলে। সে স্থানীয় একটি কওমী মাদ্রাসার ছাত্র ছিলো। 

ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশের পর গত শনিবার (৯ জানুয়ারি) শিশুটির মা লভলী বেগম (২৫) পঞ্চগড় সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহার দায়েরের পর পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতারও করেছে। 

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নিহত জাহিদের বাবা আল-আমিন (৩৬) এবং আল-আমিনের বাবা আমিরুল ইসলাম (৫৫)। পলাতক রয়েছেন মামলার আরেক আসামী আল-আমিনের ছোট ভাই আব্দুস সামাদ (৩০)।

জানা যায়, ঘটনাটি ঘটেছিলো গত বছরের ৭ অক্টোবরের। ঘটনার পর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিলো, ‘সন্ধ্যার দিকে বাড়ির পাশে জাহিদের চিৎকার শুনে তার দাদা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে সুতার সঙ্গে গলা ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখেন। পরে সেখান থেকে তিনি দ্রুত জাহিদকে নামানোর পর তার মৃত্যু হয়।’ ওই দিন রাতেই সদর থানার পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠান। একই সাথে শিশুটির বাবা একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা দায়ের করেন।

এদিকে, ঘটনার প্রায় তিন মাস পর তথা গত ৬ জানুয়ারি ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এতে শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যার তথ্য মিলেছে বলে জানিয়েছেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামসুজ্জোহা সরকার।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন জাহিদ মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি আসে। এমন সময় তার বাবা তাকে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের আলোকে প্রশ্ন করতে থাকেন। প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারায় জাহিদকে মারধর করে বাবা আল-আমিন। এক পর্যায়ে হাত-পায়ে ধরে টেনে হিচড়ে বাড়ির বাইরে নিয়ে যায়। 

মামলার বাদী লাভলী বেগম জানান, জাহিদকে বেধরক মারপিট করলে সে কান্না করে। কান্না থামাতে আমি তাকে ভাত খেতে দেই এবং বাড়ির পূর্ব দিকে গরুকে ঘাস দিতে যাই। প্রায় ঘণ্টা খানেক পরে এসে দেখি ছোট ছেলে জিহাদ (৪) ছাড়া বাড়িতে আর কেউ নেই। জিহাদের কাছে জানতে পারি জাহিদকে তার বাবা মারপিট করে টেনে হিচড়ে বাড়ির বাইরে নিয়ে গেছে। পরে খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে দেখি বাড়ির পূর্ব দিকে পানের বরজের কাছে একটি মেহগনি গাছের উপর থেকে জাহিদের বাবা আল-আমিন নিচে নামতেছে। আর গাছের ডালে রশির সাথে ফাঁসিতে ঝুলতেছে জাহিদ। নিচে দাঁড়িয়ে ছিলো জাহিদের চাচা আব্দুস সামাদ এবং দাদা আমিরুল ইসলাম। আমি ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের অপেক্ষায় ছিলাম। এছাড়া সব সময় আতঙ্কে থাকতাম। জাহিদের স্মৃতিচারণ করে বিলাপ করলে তার বাবা আমাকে এসব ভুলে যেতে বলতো। আর বলতো সংসার করার ইচ্ছা থাকলে যেন এসব কাউকে না বলি। 

পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শামসুজ্জোহা সরকার জানান, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে নিশ্চিত হয়েছি শিশুটিকে কেউ মেরে ফেলেছে। প্রাথমিক ভাবে তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। এখনও তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছেনা।

একুশে সংবাদ/ ডি.হ/এস

Link copied!