AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

শ্রীপুরে খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৫:৫৯ পিএম, ২৪ নভেম্বর, ২০২০
শ্রীপুরে খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের পেলাইদ গ্রামে কাটাখালী খালের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বহু বছর আগে এলাকার কৃষকের সেচের সুবিধার জন্য খালটি খনন করা হয়েছিল। এখন সেচকাজের জন্য তেমন একটা ব্যবহার না হলেও পানিনিষ্কাশনের একমাত্র পথ ছিলো এই খালটি। উপজেলার পেলাইদ এলাকার মৃত সুবাহানের ছেলে প্রবাসী রফিকুল ইসলাম খালটির উপর পাকা ঘর তৈরি শুরু করেছেন বলে অভিযোগ করেন ওই এলাকার স্থানীয় লোকজন। রফিকুল ইসলাম প্রবাসে থাকায় তার চাচাতো ভাই আইয়ুব আলী নির্মাণের কাজ করাচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, খালটির প্রায় ২০ ফুট পর্যন্ত কংক্রিটের পিলার দিয়ে ছাদ নির্মাণ করা হয়েছে। খালের পাড়ের অংশে মাটি ভরাট করে ঢালাই করে সরকারি রাস্তাও দখল করে রফিকুল ইসলাম খালের জমিতে পাকা ভবন নির্মাণ করছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা সূত্র জানায়, পানিনিষ্কাশনের একমাত্র পথ খালটি দখলের কারণে এটি অনেকটাই ছোট হয়ে গেছে। এর মধ্যে রফিকুল ইসলাম ও আইয়ুব আলী খালের ওপর পাকা ঘর নির্মাণ করার ফলে বর্ষা মৌসমে পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা ব্যাহত হবে। সরকারি খাল এভাবে দখল হলেও প্রশাসনের নজরদারি নেই। পিলার তৈরি করার সময় গোসিংগা ভূমি অফিস থেকে লোক এসেছিলো কিন্তু কোন সুরাহা করেনি। তাদের নজরদারি না থাকার কারণে ছাদ পর্যন্ত করে ফেলেছে। প্রভাবশালী হওয়ার কারণে কেউ কাজে বাধা দিতেও সাহস পাচ্ছেন না।  ভূমি অফিস ও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

এ বিষয়ে রফিকুল ইসলামের চাচাতো ভাই আইয়ুব আলী জানান,গরুর খড় রাখার জন্য এই স্থাপনাটি করা হয়েছে। খালটি আগে অনেক ছোট ছিল আমাদের জমির কিছু অংশ ভেঙে খালের মধ্যে চলে গেছে। যেখানে স্থাপনা করা হচ্ছে সেটা আমাদের এই জায়গা। খালের জমি হয়ে থাকলে সরকার চাইলে ভেঙে ফেলা হবে।

গোসিংগা ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী তাজউদ্দীন জানান, খালের উপর স্থাপনা নির্মাণ হচ্ছে খবর পেয়ে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এবং এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনারের কাছে লিখিত রিপোর্ট দেয়া হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভূমি) ফারজানা নাসরিন জানান, সীমানা নির্ধারণের জন্য সার্বিয়ার পাঠানো হবে। যদি সরকারি খালের উপরে স্থাপনা থেকে থাকে সেটি ভেঙে দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাসলিমা মোস্তরী বলেন, খাল বা জলাধার বন্ধ করে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। পরিবেশ আইনের পক্ষে আমাদের অবস্থান অটল। সেখানে সরেজমিনে দেখা হবে। খালের জমির মধ্যে যদি পাকা ঘর নির্মাণ হয়ে থাকে তা ভেঙে ফেলার ব্যবস্থা করা হবে। এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

একুশে সংবাদ/এআরএম

Link copied!