AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

হাওরবাসীর ভাগ্য বদলাবে ‘শেখ হাসিনা উড়াল সড়ক’


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০২:০১ পিএম, ১৮ নভেম্বর, ২০২০
হাওরবাসীর ভাগ্য বদলাবে ‘শেখ হাসিনা উড়াল সড়ক’

দেশের হাওরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে উড়াল সেতুসহ রাস্তা নির্মাণ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। প্রকল্পটি চলতি মাসেই একনেকের সভায় অনুমোদনের জন্য তোলা হবে বলে জানা গেছে। এর সম্ভব্য নাম ‘শেখ হাসিনা উড়াল সড়ক’ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এই প্রকল্পের আওতায় সুনামগঞ্জ-নেত্রকোনা মহাসড়কের মান্নানঘাট থেকে গুল্লা গ্রাম হয়ে ধর্মপাশার মধুপুর পর্যন্ত সাড়ে ১০ কিমি স্থানে গভীর হাওরে উড়াল সেতুসহ রাস্তা নির্মাণ এবং দিরাই-শাল্লা সড়ক নির্মাণ করা হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে স্বল্প সময়ে সুনামগঞ্জ থেকে নেত্রকোনা এবং নেত্রকোনা থেকে ঢাকা আসা-যাওয়া সম্ভব হবে। এছাড়াও খুলে যাবে হাওর কেন্দ্রিক পর্যটনের নতুন দুয়ার।

সুত্র জানায়, এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে সরকারের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। প্রকল্পের সম্ভাব্য মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৫ সাল পর্যন্ত। এই প্রকল্পে প্রায় ১০৭ কিমি দৃষ্টিনন্দন সড়ক নির্মিত হবে। আরো ২৮ কিমি ডুবন্ত সড়ক, ইউনিয়ন ও উপজেলা সড়ক সংযোগ থাকবে।

উপজেলা সড়কে ২ হাজার ৯৮৭ মিটার ও ইউনিয়ন সড়কে ৬৮৫ মিটার সেতু এবং ৭৭৫ মিটার কালভার্টও নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের সবকিছুই হবে দৃষ্টিনন্দন ও চোখ ধাঁধানো। প্রকল্পটি চলতি মাসেই একনেকে অনুমোদিত হওয়ার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কারণ হাওরের প্রকৃতি বিবেচনা করেই বিরল উড়াল সড়ক নির্মাণের কাজ প্রধানমন্ত্রীর মাথা থেকেই এসেছে।

উড়াল সড়কের প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সহজেই দেশ-বিদেশের পর্যটকরা সুনামগঞ্জে প্রবেশ করে হাওরের উড়াল সড়ক দিয়ে নেত্রকোনা হয়ে ঢাকায় চলে যেতে পারবে। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে বেসরকারি উদ্যোক্তারা হোটেল-মোটেল নির্মাণ, হাওরে ঘুরে বেড়ানোর জন্য নৌকা-স্পিডবোটসহ নানা জলযান তৈরি করবে। ফলে হাওরাঞ্চলে মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

জানা গেছে, সরকারিভাবে উড়াল সড়কের দুই পাশে কিছু দূর দূর ‘ইয়ূথ হোস্টেল’ গড়ে তোলা হবে। টিনসেডের বাংলো’র মতো হোস্টেলও থাকবে। সেখান থেকে হাওরের প্রাকৃতিক মনোরম দৃশ্য উপভোগ করা যাবে। সেখানে নিরাপদ পানি ও রান্নাবান্নার ব্যবস্থা থাকবে।

এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ খান জানান, সুনামগঞ্জ বাংলাদেশের অন্যসব স্থানের মতো নয়। হাওরের কারণে এই জেলার অধিকাংশ উপজেলা সড়ক যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন। তাই এসব উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে অনেকগুলো প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এসব বাস্তবায়িত হলে হাওরবাসী আর পিছিয়ে থাকবে না।

এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাওরাঞ্চলের উন্নয়নে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পালন করছি। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সুনামগঞ্জকে আর অবহেলিত থাকবে না। সুনামগঞ্জ হবে পর্যটকদের জন্য উত্তম স্থান। দেশ-বিদেশ থেকে হাজারো পর্যটক ও প্রকৃতিপ্রেমিরা ছুটে আসবেন এবং হাওরপাড়ের মানুষের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

একুশে সংবাদ/এআরএম

Link copied!