AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী
৪ বছরেও তদন্তে অগ্রগতি নেই

এবার পিবিআইতে তনু হত্যা মামলা


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
১২:৪৩ পিএম, ১৮ নভেম্বর, ২০২০
এবার পিবিআইতে তনু হত্যা মামলা

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু (১৯) হত্যা মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তনু হত্যাকাণ্ডের পর গত প্রায় চার বছর আট মাসে আলোচিত এই মামলাটির চারবার তদন্ত সংস্থা পরিবর্তন হয়েছে। আর মামলাটি তদন্তের জন্য পাঁচজন কর্মকর্তা দায়িত্ব পেয়েছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডের কোনো খুনি শনাক্ত হয়নি। মামলারও বিশেষ কোনো অগ্রগতি হয়নি।

তনু হত্যা মামলা পিবিআইতে হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনামুল হক। তিনি জানান, সিআইডি তনু হত্যা মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর করেছে। এরই মধ্যে পিবিআই মামলাটির তদন্ত শুরু করেছে।

২০১৬ সালের ২০ মার্চ সন্ধ্যায় কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরের একটি বাসায় টিউশনি করতে গিয়ে আর বাসায় ফেরেননি তনু। পরে স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করে রাতে বাসার অদূরের একটি জঙ্গলে তনুর লাশ পায়। পরদিন তাঁর বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের নামে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। থানা পুলিশ ও ডিবির পর ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি। তনুর লাশের দুই দফা ময়নাতদন্তে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগ মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণ উল্লেখ করেনি। শেষ ভরসা ছিল ডিএনএ প্রতিবেদন। ২০১৭ সালের মে মাসে সিআইডি তনুর জামাকাপড় থেকে নেওয়া নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা করে তিনজন পুরুষের শুক্রানু পাওয়ার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল। পরে সন্দেহভাজনদের ডিএনএ ম্যাচিংয়ের কথা থাকলেও তা করা হয়েছে কি না, এ নিয়েও সিআইডি বিস্তারিত কিছু জানায়নি। সর্বশেষ সন্দেহভাজন হিসেবে তিনজনকে ২০১৭ সালের ২৫ থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত সিআইডির একটি দল ঢাকা সেনানিবাসে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদ করা ব্যক্তিরা তনুর মায়ের সন্দেহ করা আসামি বলেও সিআইডি জানায়। তবে তাদের নাম জানানো হয়নি।

তনুর বাবা ইয়ার হোসেন বলেন, ‘চার বছর ধরে মামলাটি সিআইডিতে। তারা কখন পিবিআইতে হস্তান্তর করেছে, আমরা জানি না। গত রবিবার ঢাকা থেকে পিবিআইয়ের কয়েকজন সদস্য আসেন সেনানিবাসে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারপর আমাদের সঙ্গে কথা বলতে এসে জানান মামলাটি এখন পিবিআই তদন্ত করছে।’

তনু হত্যা মামলার তদন্তের বিষয়ে কুমিল্লার পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘সিআইডি থেকে মামলাটি পিবিআইতে এসেছে শুনেছি। তবে কুমিল্লা পিবিআইতে এটি হস্তান্তর করেনি। মামলাটি সম্ভবত সেন্ট্রাল পিবিআই দেখছে।’

একুশে সংবাদ/কা/এআরএম

Link copied!