AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

‘এই শালা, আমি কে?’ শিক্ষার্থীকে কুবি শিক্ষক


‘এই শালা, আমি কে?’ শিক্ষার্থীকে কুবি শিক্ষক

হলে ওঠাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন সহকারী প্রক্টর ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক অমিত দত্ত। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহকে উদ্দেশ্য করে ‍‍`এই শালা, আমি কে? আমি শিক্ষক, তাহলে সেভাবেই কথা বলতে হবে‍‍` বলে অশ্রাব্য ভাষায় গালি দেন সহকারী প্রক্টর।

 

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ১০টায় বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্টের রুমে এ ঘটনা ঘটে।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের পরিচয় ব্যবহার করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ওঠার চেষ্টা করেছেন সাবেক কয়েকজন ছাত্র। তবে তাদেরকে অছাত্র দাবি করে হলে ওঠতে বাঁধা দিয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত শাখা ছাত্রলীগের ঐ নেতাকে ‘এই শালা, আমি কে?’ বললে দুপক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়৷ এসময় সেখানে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালমান চৌধুরীসহ কয়েকজনকে প্রক্টরিয়াল বডির সাথে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করতে দেখা গেছে।

 

তবে অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করেননি দাবি করে অমিত দত্ত বলেন, আমি এমন কথা বলিনি। এটা আপনি কিভাবে জেনেছেন? ভিডিও থেকে জানতে পেরেছি বলার পর তিনি বলেন আমি এমন কিছু বলিনি।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-এলাহী সমর্থিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বজন বরণ বিশ্বাস, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুর বিশ্বাস, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও খালেদ সাইফুল্লাহ হত্যা মামলার প্রধান আসামি বিপ্লব চন্দ্র দাস, সাবেক ছাত্র মাহী হাসনাইন ও ইকবাল খানসহ বেশ কয়েকজন ‘অবৈধ’ভাবে হলে ওঠার চেষ্টা করেন। এদের মধ্যে আমিনুর ছাড়া সকলেরই ছাত্রত্ব শেষ। তারা হলে ওঠতে গেলে তাদেরকে বাধা দেন হল ছাত্রলীগের নেতকর্মীরা। এ বিষয়ে এ পক্ষের নেতা স্বজন বরণ বিশ্বাস বলেন, আমার এক ছোট ভাইকে হলে উঠাতে গিয়েছিলাম। তারা আমাদেরকে কোনো কারণ ছাড়াই বাধা দিয়েছে।

 

বিষয়ে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, আমরা বহিরাগতদের প্রবেশে বাঁধা দিতে সেখানে উপস্থিত হই। কিন্তু সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত বহিরাগতদের সুযোগ করে দিয়ে আমাদের উপর চড়াও হন। এক পর্যায়ে তিনি আমাদের আশ্রাব্য ভাষায় গালি দেন।

 

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, এখানে হত্যামামলার প্রধান আসামিসহ কয়েকজন অছাত্র এসে হলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নিরাপত্তা শঙ্কায় ভোগায় তাদেরকে প্রতিহত করতে গেছে। তারাই কয়েক মাস আগে বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ককটেল ও ফাঁকাগুলির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গেছে।

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম বিদ্যুৎ বলেন, আমরা হলের সকল প্রক্রিয়া মেনেই শিক্ষার্থী তুলব। যারা হলে ওঠতে চেয়েছে, তারা হল প্রশাসন থেকে অনুমতি নেয়নি।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি

Link copied!