AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

অনলাইনে পুষ্টিবিদ মুরাদের দেড় কোটি টাকার পণ্য বিক্রি


Ekushey Sangbad
নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
০৭:৩২ পিএম, ৫ জানুয়ারি, ২০২৩
অনলাইনে পুষ্টিবিদ মুরাদের দেড় কোটি টাকার পণ্য বিক্রি

সততা, মেধা আর পরিশ্রম এই তিনটিকে পূঁজি করে বড় উদ্যোক্তা হওয়ার পথে হাঁটছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা পুষ্টিবিদ মুরাদ পারভেজ।

 

 খাদ্য প্রযুক্তি ও পুষ্টিবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করা এই তরুণের স্বপ্ন ছিল নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কাজ করার। স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০২০ সালের জুন মাসে শুরু করেন ই-কমার্স। অনলাইনেই নেন অর্ডার। পণ্য হাতে পেয়ে ক্রেতারা পরিশোধ করেন টাকা। শতভাগ ভেজালমুক্ত পণ্য সরবরাহের কারণে ক্রমেই ক্রেতাদের আস্থা বাড়তে থাকে মুরাদের প্রতি। টনের টন আম বিক্রি করেন তিনি। কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি করেন অনেকের। রাজশাহীর কেমিক্যালমুক্ত ফ্রেশ আম বিক্রি দিয়ে এভাবেই ই-কমার্সে কাজ শুরু তার।

 

আম বিক্রির  সাথে চলে মাটির তৈজসপত্র বিক্রি। সেখানেও ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করেন তিনি। সেই যে শুরু এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি পুষ্টিবিদ মুরাদকে। এবার তিনি বিক্রি করছেন ভেজালমুক্ত রাজশাহীর গুড়, ফ্রেশ মধু এবং ঘি। এবারও তিনি সফল। শীত মৌসুমে তার ব্যবসায়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে ৪৭ জন শ্রমিকের। আর তার তৈরি গুড় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।

 

পুষ্টিবিদ মুরাদ পারভেজ জানান, গত দুই বছর আট মাসে তার দেড় কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। নিজের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজ ‍‍`ম্যাংগো লাভার‍‍` থেকে পণ্যের মার্কেটিং করেন তিনি। প্রতিদিন অসংখ্য অর্ডার আসে তার। তার থেকে ভেজালমুক্ত খাদ্য নায্যদামে পেয়ে খুশি ক্রেতারাও। 

 

জানতে চাইলে পুষ্টিবিদ মুরাদ পারভেজ বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কাজ করাই আমার লক্ষ্য ছিল। আজকাল সব পণ্যে ভেজাল। ভেজালমুক্ত খাদ্য তৈরি ও সরবরাহের শপথ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে নেমে পড়েছি কাজে। চাকরির পেছনে ছুটিনি আমি। নিজেই নিজের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছি। পাশাপাশি আরো অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছি। ৩৭ জন কৃষক আমার এখানে কাজ করছে৷ আমার তৈরি পণ্য যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৩১টি দেশে গুড় পাঠিয়েছি। আমার ব্যবসায়ের ব্যতিক্রমী দিকটি হলো আমি এক টাকাও অগ্রিম নেইনা। পণ্য হাতে পেয়ে সন্তুষ্ট হয়ে ক্রেতারা টাকা দেন। এটাই আমার বিশেষত্ব। আমার স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে। একদিন বড় মাপের উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে গ্রামে গিয়ে অনলাইনে পণ্য বিক্রি করার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি অনেকে। আমার সমালোচনায় মত্ত ছিলেন তারা। তবে  আগে তারা সমালোচনা করলেও এখন আমার সাফল্য দেখে প্রশংসা করেন। আমি এগিয়ে যেতে চাই সবার দোয়া আর ভালোবাসা নিয়ে।

 

একুশে সংবাদ.কম/না.আ.প্রতি/সা’দ

Link copied!