সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

নাসিক নির্বাচনে প্রার্থী দেইনি: চুন্নু

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৩:৪১ পিএম, ১০ জানুয়ারি, ২০২২
ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে কোনো উপযুক্ত প্রার্থী না থাকায় সেখানে আমরা প্রার্থী দেইনি বলে জানান জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। আর দলীয় কর্মী-সমর্থকদের জন্য কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার ব্যাপারে দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত নেই বলেও জানান তিনি।

সোমবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। 

এর আগে সংবাদকর্মীরা ‘নারায়ণগঞ্জে প্রার্থী দেননি কেন? এবং তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, তাকে জাতীয় পার্টি সমর্থন দিয়েছে’ এ ব্যাপারে তার মতামত জানতে চান। জবাবে তিনি এই উত্তর দেন।

‘নির্বাচনে সহিংসতার দায় নির্বাচন কমিশনের নয়, দায় প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের’ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার এমন বক্তব্যকে আংশিক সঠিক বলে মন্তব্য করেছেন জাপা মহাসচিব।

এই সময় চুন্নু বলেন, উনার বক্তব্য আংশিক সঠিক। কারণ একটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনই যে এককভাবে দায়ী তা নয়, রাজনৈতিক দলের ও ভোটারদের সবার দায়িত্ব। অনেক সময় দেখা যায়, নির্বাচন কমিশন চাইলেও পারে না, যদি শাসক দলের লোকজন বিশেষ করে এক্সিকিউটিভ যারা, তারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্বপালন না করেন।

টাঙ্গাইল-৭ উপনির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের আশঙ্কা হচ্ছিল যে, নির্বাচনটা ফেয়ার হবে না। কারণ গত কয়েক মাসে যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছে, বিশেষ করে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ। সেটা নির্বাচনের নামে একটা নৈরাজ্যের অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সেই নির্বাচন গুলোতে বিএনপি নির্বাচনে যায়নি। জাতীয় পার্টি লাঙ্গল প্রতীকে অনেক প্রার্থী দিয়েছিল। আমাদের প্রার্থীদের মারধর করা হয়েছে, পিটানো হয়েছে ও বিভিন্নভাবে প্রার্থিতা প্রত্যাহারে বাধ্য করা হয়েছে। কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে তাকে এলাকা ছাড়তে হয়েছে বলে জানান তিনি।

মহাসচিব বলেন, অনেক জায়গায় ব্যক্তিগতভাবে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেও সুফল পাইনি। শুধু এটাই না, কয়েক মাস আগে সিরাজগঞ্জে একটি উপনির্বাচনে আমাদের প্রার্থীর জামাকাপড় পর্যন্ত ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। এসব উপনির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্যকর অবস্থা তাতে আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে, মির্জাপুরের নির্বাচন ফেয়ার হবে না। সেই কারণে আজ আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি।

তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আমরা বলেছি, আপনার কমিশন গত পাঁচ বছর অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে কাজ করেছে। অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। আপনাদের সময়কালে এটাই কোনো পার্লামেন্টের শেষ উপনির্বাচন। আল্লাহ না করুক, কোনো আসন যদি কোনো কারণে শূন্য হয়, তাহলে সময় সীমাবদ্ধতায় আপনারা আর নির্বাচন করার সুযোগ পাবেন না। তাই আপনাদের বিদায় বেলায় অন্তত পক্ষে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের নির্বাচনটা যাতে নিরপেক্ষ হয় বলে দাবি করেন।

এই সময় তিনি আরও বলেন, আপনাদের সব শক্তি, আইনানুগ যে ক্ষমতা তা প্রয়োগ করে বিশেষ করে শাসক দলের কর্মী ও প্রশাসন শাসক দলের পক্ষে নির্লজ্জভাবে কাজ করছে তাদের যেন কন্ট্রোল করা হয়। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয়, মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বলেছি। নির্বাচন ফেয়ার করার জন্য যা যা করার দরকার তার সব ধরনের ব্যবস্থা নেবেন নির্বাচন কমিশনার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন বলে জানান জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।

একুশে সংবাদ/রাফি

রাজনীতি বিভাগের আরো খবর