‘বিএনপি তাদের শাসনামলে দুর্নীতিতে বারবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার কলঙ্কতিলক দেশকে পরিয়েছিল, যা জনগণ এখনো ভুলে যায়নি। যারা হাওয়া ভবন নামের খাওয়া ভবন তৈরি করে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল তাদের মেগা-প্রকল্প দেখলে মনোযন্ত্রণা হওয়াই স্বাভাবিক।’
সোমবার (২১ জুন) সচিবালয়ে নিজ দফতরে ব্রিফিংকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিবের মেগা প্রকল্পের অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা নিজেদের সময় দেশে একটি মেগা প্রকল্প করার সাহস ও সক্ষমতা দেখাতে পারেনি তারাই আজ মেগা প্রকল্প নিয়ে মেগা-মিথ্যাচারে নেমেছে। এটা তাদের পরিকল্পিত অপচেষ্টা।’
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এটা তার প্রতিহিংসাপরায়ণ ও ব্যর্থ এক বিরোধীদলের ঈর্ষাকাতরতা ছাড়া কিছু নয়। বিএনপি সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম দেখে নিজেদের আমলের ব্যর্থতা ঢাকতে পরিকল্পিত মিথ্যাচার করছে।’
অব্যাহত মিথ্যাচার করে দেশের ইমেজ নষ্ট করা বিএনপির লক্ষ্য উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নিজেরা ক্ষমতায় থাকাকালে দেশকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিল, আর এখন শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমে ঈর্ষান্বিত হয়ে দুর্নীতির গন্ধ খুঁজে বেড়ায়।’
বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের পার্থক্য কী তা জানান ওবায়দুল কাদের। বলেন, দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি স্পষ্ট ও কঠোর, যেকোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে নিজ দলের নেতাকর্মীদেরও ছাড় দেওয়া হয়নি। অপরদিকে বিএনপি দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ তো দূরের কথা গঠনতন্ত্র থেকে দুর্নীতিবাজদের অযোগ্যতা বিষয়ক ধারা বাতিল করে আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজদের দল হিসেবে নিজেদের স্বীকৃতি দিয়েছে।
এছাড়া বিএনপি মহাসচিবকে উদ্দেশ্য করে সেতুসন্ত্রী বলেন, ‘সাহস থাকলে আপনাদের গঠনতন্ত্রে দুর্নীতিবিরোধী ৭-ধারা ফিরিয়ে আনুন।’
একদিকে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে অন্যদিকে কল্পিত অভিযোগ করাকে জনগণ নৈতিকতা বিরোধী বলেই মনে করে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে অদম্য গতিতে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সড়ক অবকাঠামো খাতে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, টানেলসহ যে কয়টি মেগা-প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে- সেখানে কোনো দুর্নীতি হলে কাল্পনিক অভিযোগ না করে সুস্পষ্ট প্রমাণ দিন।
এসময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘স্পেসিফিক প্রমাণ দিন, কোথায় দুর্নীতি হয়েছে।’ বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘আসলে দুর্নীতি প্রবণতা তাদের মগজে এবং অস্থিমজ্জায় মিশে গেছে।’
‘বিএনপি আবার সুযোগ পেলে জনগণের সম্পদ লুণ্ঠন করবে, সেই অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু জনগণ বিএনপির এ দুঃস্বপ্ন কখনো সফল হতে দেবে না।’বলেও মন্তব্য করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
একুশে সংবাদ/তাশা