সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঘাটাইলে গরু, মহিষ ও ঘোড়া দিয়েই চাষাবাদ

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৪:৩৩ পিএম, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

যান্ত্রিকতার এই যুগে অধিকাংশ জেলায় কৃষি জমিতে হালচাষ ও মই দেওয়ার কাজটি ট্রাক্টর বা যান্ত্রিকভাবে করা হলেও,  টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার বেশীর ভাগ এলাকায় এখনও দেশীয় গরু, মহিষ এবং ঘোড়ার ব্যবহার বহুলাংশে।

 

বিশেষ করে উপজেলার পাহাড়ী অঞ্চল ধলাপাড়া, দেওপাড়া, সন্ধানপুর, লক্ষিন্দর ও সাগরদীঘি ইউনিয়নের বাঈদ (নামা) জমি ছাড়াও, চালা (পাহাড়ী এলাকার উঁচু অংশ)  জমিগুলোতে বোরো মৌসুমে ধান রোপনের প্রবণতা দিন -দিন বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি বেড়েছে গরু, মহিষ ও ঘোড়া দিয়ে হালচাষ ও মই দেওয়ার ব্যবহার।

 

শনিবার (৪ফেব্রুয়ারি)  উপজেলার উল্লেখিত এলাকাগুলো ঘুরে দেখা মিললো বোরো রোপনের জন্য জমি প্রস্তুতে গরু দিয়ে হালাচাষ এবং ঘোড়া ও মহিষ দিয়ে মই দেওয়ার চিত্র, যা যান্ত্রিক ব্যবস্থাপনার যুগে সত্যি-ই অভাবনীয়।

 

উপজেলার সুন্দইলপাড়া গ্রামের আঃ গফুর মিয়া সখের বশে নয়, বাপ-দাদার আমল থেকেই মহিষ পালনের সাথে সম্পৃক্ত। নিজের জমি চাষাবাদ করার পাশাপাশি অন্যের জমিতেও বিঘা প্রতি পাঁচ থেকে ছয়শত টাকার বিনিময়ে বোরো জমিতে মই দিচ্ছেন।

প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি বলেন, "আমরা বাপ-দাদার আমল থেকেই মইষ (মহিষ) পালি। নিজের কামও করি, মাইসেরেও কিছু কিছু কইরা দেই"।

 

ভবানীপুর এলাকার আবুল হোসেন ঘোড়া দিয়ে প্রতিদিন প্রায় দশ বিঘা জমিতে মই দিয়ে রোজগার করেন ২৫০০-৩০০০ টাকা। বছরের অন্য সময়ে তিনি ঘোড়ার গাড়ি দিয়ে মুরগীর খাদ্য বিভিন্ন খামারে পৌঁছায়ে রোজগার করেন প্রতিদিন ১৫০০-২০০০ টাকা।

 

এছাড়া, পোড়াবাসা খাঁনমোড় এলাকার ইমান আলী দুটি গরু (বলদ) দিয়ে নিজের চাষাবাদ করেও অন্যের জমিতে হালচাষের কাজটি করে থাকেন।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলশাদ জাহান এ বিষয়ে একুশে সংবাদ ডটকমকে বলেন, "যদিও আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্যকে ধরে রাখা উচিৎ, তবে যান্ত্রিকতার দিকে আগাতে হবে কৃষকদের"। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "যেহেতু সরকারিভাবে এখন ট্রাক্টর দেওয়ার সুযোগ নেই, তাই ব্যক্তি মালিকানায় কিনতে হবে এটি এবং সুযোগ-সুবিধা এলে আমরা কৃষকদের অবশ্যই জানাবো"।

 

একুশে সংবাদ/ন.ই.প্র/জাহাঙ্গীর

জাতীয় বিভাগের আরো খবর