আওয়ামী লীগ ভেসে আসেনি। বিএনপি লাঠি দিয়ে মারতে আসলে লাঠি দিয়েই জবাব দেয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যে হাত দিয়ে মারতে আসবে, সেই হাত ভেঙে দিতে হবে। যে হাত দিয়ে আগুন দিতে আসবে, সে হাত দিয়ে তাদের পোড়াতে হবে। ওদের কিসের ক্ষমা। বসে বসে আর মার খাওয়া যাবে না। গণতন্ত্র তাদের মুখে মানায় না। নেতাকর্মীদের বলছি, সবাই প্রস্তুত থাকুন।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত হন।
তিনি বলেন, যে হাত দিয়ে আগুন দেয়া হবে সে হাত আগুনেই পুড়িয়ে দেয়া হবে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হলে ছাড় দেওয়া হবে না। নেতাকর্মীরা সবাই প্রস্তত থাকুন, যেনো কেউ মানুষের ক্ষতি না করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। অনেক সহ্য করেছি। মানুষের গায়ে হাত দিলে ক্ষমা নাই।
তিনি আরও বলেন, যে সব দেশ গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলে তাদের দেশের গণতন্ত্র আমরা জানি। তাদের দেশে প্রতিদিন মানুষ খুন হয়। তাদের কাছে আমাদের গণতন্ত্র শিখতে হবে। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে।
বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ পিছিয়ে যাবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রত্যেক এলাকায় আমাদের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। সেদিন তারা (নয়াপল্টনে বিএনপি) বিআরটিসির বাস পুড়িয়েছে। এটা তাদের টেস্ট ছিল। নেতাকর্মীদের বলছি, সবাই প্রস্তুত থাকুন। মেহনতী মানুষের ওপর আঘাত করলে তাদের ক্ষমা নেই।
তিনি বলেন, বারবার আঘাত করলে আমরা সহ্য করব না। আমরা ২০২২ পর্যন্ত সহ্য করেছি। এখন আর করব না। চাল-ডাল দিয়ে খিচুড়ি খেয়ে সরকার হটানো যাবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। ২০০১ সালের নির্বাচনের পরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়ি দখল করে পুকুর কেটে কলা গাছ লাগানো হয়েছিল। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা প্রতিশোধ নিতে পারতাম, কিন্তু আমরা তা করিনি। নির্বাচনী ইশতেহার বিএনপি বাস্তবায়ন করেনি।
একুশে সংবাদ.কম/ঢচ/জাহাঙ্গীর