সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

লোকজ সংস্কৃতির বিকাশে সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহকে এগিয়ে আসতে হবে: মোস্তাফা জব্বার

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৫:০৪ পিএম, ৩১ জুলাই, ২০২১

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশের ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন  লোকজ সংস্কৃতি আমাদের  অতি মূল্যবান সম্পদ। ড. দীনেশ চন্দ্র সেনের ময়মনসিংহ গীতিকা  পৃথিবীতে বাংলাদেশকে তুলে ধরেছে। পূর্ব বাংলার লোকজ সংস্কৃতি নিয়ে দীনেশ চন্দ্র সেনের অন্যান্য খন্ড গুলো পুন:প্রকাশ করা প্রয়োজন । মন্ত্রী দেশের লোকজ সংস্কৃতির বিকাশে সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ।

আজ শনিবার ঢাকায় ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের দ্বি-বার্ষিক  সম্মেলনে সভাপতির বক্তৃতায় সংগঠনের সভাপতি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার এ আহ্বান জানান।

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।  ফোরামের জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: জাহাঙ্গীর হোসেন,বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতি, ঢাকার সভাপতি মো: আবুল কালাম আজাদ, বৃহত্তর ময়মনসিংহ ,ঢাকার সমন্বয় পরিষদের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো: নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের সিইও ড. মো: জাফর উদ্দিন, প্রবাসি কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আবদুল মনসুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান প্রমূখ সস্মেলনের উদ্বোধন অধিবেশনে বক্তৃতা করেন। 

বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের  তিন মেয়াদের নির্বাচিত সভাপতি জনাব মোস্তাফা জব্বার বাংলাদেশের অন্যতম মূল পরিচয় তার সমৃদ্ধ সংস্কৃতি বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ময়মনসিংহের নিজস্ব সংস্কৃতি, পালা গান, লোকগাঁথা খুবই সমৃদ্ধ। এগুলোকে সংকলিত করতে পারলে সেটি সমৃদ্ধ লোকজ সম্পদ হতে পারে। এই ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। মন্ত্রী বলেন, এধরণের কর্র্মকান্ডকে পৃষ্ঠপোষকতা ও উৎসাহিত করতে  পারলে বাংলার লোকজ সংস্কৃতির ভান্ডার আরও সমৃদ্ধ হবে। মন্ত্রী সাংস্কৃতিক ফোরামের কর্মকান্ড সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে ছড়িয়ে দেওয়া উচিৎ উল্লেখ করে বলেন করোনাকালেও আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী   অনুষ্ঠানমালা  ভার্চুয়ালি কিছুটা হলেও  দিতে পেরেছি। বিগত দিন গুলোতে ফোরামের কর্মকান্ড তুলে ধরে তিনি বলেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহের লোজজ সংস্কৃতি বিশেষ করে মহুয়া-মলুয়া কিংবা ময়মনসিংহ গীতিকা আমাদের ফোকাসে বেশি আসা দরকার।

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী উদ্বোধনী বক্তৃতায়  বৃহত্তর ময়মনসিংহের সংস্কৃতির বিকাশে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের ভূমিকারর প্রশংসা করে বলেন, সাংস্কৃতিক ফোরাম তাদের কর্মকান্ড দিয়ে সংগঠনটিকে জাতীয় সংগঠনে রূপ দিয়েছে। তিনি বলেন, রাজনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা, শিল্পি-সাহিত্যিক, ডাক্তার আইনজীবিগণ এই সংগঠনে জড়িত থেকে এই সংগঠনকে আরও সমৃদ্ধ করেছেন। 

অনুষ্ঠানে বক্তারা বৃহত্তর ময়মনসিংহের সাংস্কৃতিক ফোরামকে বৃহ্ত্তর ময়মনসিংহ বাসীর মধ্যে শিক্ষা-সাংস্কৃতি এবং আর্ত -মানবতার কল্যাণে একটি কার্যকর প্লাটফর্ম হিসেবে উল্লেখ করেন। তারা এটিকে নিজেদের মধ্যে সেতুবন্ধনের একটি উত্তম স্থান হিসেবেও বর্ণনা করেন।

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ফোরামের পুর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান শেলী । পেশকৃত রিপোর্ট সমূহ সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।

অনুষ্ঠানে বৃহত্তর ময়মনসিংহের পদস্থ রাজনীতিবীদ, সরকারি কর্মকর্তা , সাংবাদিক,আইনজীবি, ব্যবসায়ীসহ  বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার শতাধিক প্রতিনিধি অন-লাইনে যোগ দান করেন।

একুশে সংবাদ/তাশা

জাতীয় বিভাগের আরো খবর