সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় চলচ্চিত্র নির্মাণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর 

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০১:৫৬ পিএম, ১৭ জানুয়ারি, ২০২১

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় চলচ্চিত্র নির্মাণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেন সিনেমা বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। এ শিল্প যাতে উন্নত হয়, দেশ ছাড়িয়ে বাহিরে যায় সে লক্ষ্যে দেশের সিনেমা শিল্পের সুদিন ফিরিয়ে আনার জন্য এক হাজার কোটি টাকার ফান্ড গঠনের ঘোষণা করা হলো। এই ফান্ড থেকে সিনেপ্লেক্স ও অন্যান্য হল মালিকরা স্বল্প সুদে ঋণ নিয়ে আধুনিক সিনেমা হল নির্মাণ করতে পারবেন। এছাড়া পুরনো হলগুলোকেও আধুনিকায়ন করতে পারবেন।

আজ রোববার সকাল পৌনে ১২টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৯’ প্রদান অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী। 

করোনার কারণে এবারের আসরে সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। এবার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

 প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সিনেমা শিল্প যেন সারা দেশের উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে যায়, স্থানীয় মানুষ যেন বিনোদনের সুযোগ পায়, সেই চিন্তা থেকেই আমরা এই এক হাজার কোটি টাকার ফান্ড করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতিমধ্যে আমরা সিনেমা আর্কাইভ ভবন তৈরি করে আমাদের পুরনো সিনেমাগুলোকে নতুনভাবে নিয়ে আসার পদক্ষেপও নিয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যে ঐতিহ্যগুলো আছে সেগুলোকে রক্ষা করতে হবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই পুরনো সিনেমাগুলোকে পুনরুদ্ধার করার জন্য আমরা ফিল্ম আর্কাইভ ভবন তৈরি করেছি। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চলচ্চিত্র নির্মাণে আর্থিক সংশ্লিষ্টতা আমরা বৃদ্ধি করেছি। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০২০ করে দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে এটা আমি নিজে করার উদ্যোগ নিয়েছি। কারণ আমি দেখেছি অনেক শিল্পীর অবস্থা দুর্দশা। এই ট্রাস্টে চলচ্চিত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট সবার যাতে ব্যবস্থা হয়, সে সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছি। যাদেরকে আমরা দেখতে পারিনা, কিন্তু নেপথ্যে থেকে দিনরাত পরিশ্রম করে চলচ্চিত্র নির্মাণে ভূমিকা রাখছেন, তাদের জন্যই এই ট্রাস্ট।’

এ বছর ৪৪তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯ পেয়েছেন ৩৩ জন শিল্পী-কলাকুশলী। ২৬টি ক্যাটাগরিতে তাদের হাতে তুলে দেয়া হয় অসামান্য এই সম্মাননা। আর আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন প্রবীণ অভিনেতা মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা ও অভিনেত্রী কোহিনুর আক্তার সুচন্দা সুচন্দা। 

দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের একমাত্র রাষ্ট্রীয় ও সর্বোচ্চ পুরস্কার প্রদানের এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এবং তথ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তথ্যসচিব খাজা মিয়া স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এতে আরও যোগ দেন চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

২০১৯ সালে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্য থেকে ২৬টি ক্যাটাগরিতে ৬টি যুগ্মসহ মোট ৩৩ জনকে জাতীয় পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করেছে জুরি বোর্ড। এর সাথে চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এবছর আজীবন সম্মাননা পান সোহেল রানা ও সুচন্দা।


একুশে সংবাদ/ এ/এস

জাতীয় বিভাগের আরো খবর