কাকরাইলে মা শামসুন্নাহার (৪৫) ও তার ছেলে শাওনকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত ।
আজ রবিবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-শামসুন্নাহারের স্বামী আবদুল করিম,করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তা ও তার ভাই আল-আমিন ওরফে জনি।
এর আগে, গত ১০ জানুয়ারি রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আজ রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। মামলায় সর্বমোট ২২ সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য নেয় আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার ইন্সপেক্টর মো. আলী হোসেন ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই নিহত শামসুন্নাহারের স্বামী আব্দুল করিম, করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তা, মুক্তার ভাই আল-আমিন ওরফে জনিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১ নভেম্বরে সন্ধ্যায় কাকরাইলের আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম রোডের ৭৯/১ বাড়িতে শামসুন্নাহার (৪৫) ও তার ছেলে শাওনকে (ও লেভেল শিক্ষার্থী) গলা কেটে হত্যা করা হয়। নিহতের স্বামী আবদুল করিম পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী। তিনি আদা-রসুন-পেঁয়াজ আমদানিকারক।
ঘটনার পরদিন ২ নভেম্বর শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী বাদী হয়ে রমনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় শামসুন্নাহারের স্বামী আবদুল করিম, তার দ্বিতীয় স্ত্রী শারমীন মুক্তা, শ্যালক (মুক্তার ভাই) জনিসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
একুশে সংবাদ/ জ/ এস