বৃহস্পতিবার (২২ সেপটেম্বর) ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিন নবমবারের মতো কলকাতার নগর দায়রা আদালতের (ব্যাঙ্কশাল) সিবিআই স্পেশাল কোর্টে অভিযুক্তদের তোলা হয়। পরে পিকে হালদারসহ ছয়জনকে আরও ৫৬ দিন কারাগার রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক। আর এই সময় প্রয়োজন হলে ইডি তদন্তকারীরা চাইলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন।
ছয় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রয়েছে। এক্ষেত্রে কেবলমাত্র `প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-২০০২` (PMLA) মামলায় ওই ছয় অভিযুক্তের নামে চার্জ গঠন করা হয়েছে। চার্জশিটে নাম রয়েছে তাদের দুটি সংস্থার।
ইডির পক্ষ থেকে আজ সাড়ে ৪ হাজার পাতার যে Relied Upon Documents (RUD)-এর কপি জমা দেওয়া হয়েছিল, সেই কপি অভিযুক্তদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এবং অভিযুক্তরা তাতে সাক্ষরও করেন। সেক্ষেত্রে আগামী ১৭ নভেম্বর এই কপি যাচাই করে অভিযুক্তরা আদালতে জানাবেন।
এদিকে ইডির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, চলতি মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে পিকে হালদারকে দ্রুত দেশে ফেরানোর ব্যাপারে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে নতুন করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা দায়ের হবে না।
সূত্রটি আরও দাবি করেছে, মামলার গতিপ্রকৃতি হিসাব করে এই মামলা আর দীর্ঘায়িত করতে চাইছে না ইডি। এমনকি এই মামলায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়ারও পক্ষপাতী নয় তারা। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি বা মার্চের মধ্যেই এই মামলায় রায় হবে বলে আশাবাদী ইডি। সংস্থাটি বলছে এই মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে অন্তত সাত বছর কারাদণ্ড হতে পারে অভিযুক্তদের। এরপর ভারতের আদালতের ঘোষিত সাজার মেয়াদ বাংলাদেশে খাটবে এমন শর্তে ভারত-বাংলাদেশ বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়া হবে পিকে হালদারসহ ছয় অভিযুক্তদের।
এদিনও আদালতে প্রবেশের সময় গণমাধ্যমের কর্মীদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি পিকে হালদার বা তার সহযোগীরা।
চলতি বছরের ১৪ মে কলকাতার বর্ধমান ও অশোকনগরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে পি কে হালদার, তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
একুশে সংবাদ.কম/জা.হা