সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

দূতাবাস তালাবদ্ধ, গাড়িতে রাত কাটালেন বরখাস্ত হওয়া রাষ্ট্রদূত

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৫:২৯ পিএম, ৮ এপ্রিল, ২০২১

সামরিক অ্যাটাশে লন্ডন দূতাবাস থেকে তাকে বের করে দিয়ে দূতাবাসের ফটক তালাবদ্ধ করে রাখার কারণে দূতাবাসের সামনে থাকা নিজ গাড়িতে বুধবার সারা রাত কাটিয়েছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত। 

বিবিসির বৃহস্পতিবারের অনলাইন প্রতিবেদন অনুযায়ী কিউ জাওয়ার মিন বলেন, মিয়ানমারের সামরিক অ্যাটাশে কর্মীদের ভবন ছেড়ে যেতে বলেছিলেন এবং তাকে দেশের প্রতিনিধি হিসেবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

দূতাবাসের ‘ভবনে ত্রাস’ অভিহিত করে এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব। তবে নিন্দা জানালেও ব্রিটিশ সরকার সামরিক জান্তাদের যুক্তরাজ্যে এই রাষ্ট্রদূত পরিবর্তনের বিষয়টি মেনে নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে দূতাবাসের সামনে মুখপাত্রের মাধ্যমে কিউ জাওয়ার মিন যুক্তরাজ্য সরকারকে সামরিক জান্তার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে স্বীকৃতি না দেওয়ার এবং তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর আহ্বান জানান।
এএফপিকে কিউ জাওয়ার মিন বলেন, সারা রাত তিনি দূতাবাসের বাইরে ছিলেন।

এছাড়া ডেইলি টেলিগ্রাফকে বলেন, ‘যখন আমি দূতাবাস থেকে বের হই, তারা ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং তারা দূতাবাস দখলে নিয়ে নেয়।’

বৃহস্পতিবার সকালে দূতাবাসের সামনে রাষ্ট্রদূতের পক্ষে বিবৃতি পড়ে শোনানো হয়।  দূতাবাস কর্মীদের ‘সামরিক জেনারেলের পক্ষে কাজ চালিয়ে না গেলে কঠোর শাস্তির’ হুমকি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে একটি অভ্যুত্থান হয়েছিল। এখন মধ্য লন্ডনেও একই অবস্থা।’

মধ্য লন্ডনের ওই দূতাবাস ভবনটিতে বের করে দেওয়া কর্মীদের পুনরায় প্রবেশের জন্য পুলিশকে বলা হয়েছিল। এছাড়া রাষ্ট্রদূতকে আটকানো হয়েছে বলে সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পরে বিক্ষোভকারীরাও সেখানে জড়ো হয়।

কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে, একজন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হওয়ার পরে সংশ্লিষ্ট দেশকে তা জানানো হয়। ব্রিটিশ সরকারের পররাষ্ট্র দফতর নিশ্চিত করেছে যে, এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি তারা পেয়েছে এবং তারা ‘মিয়ানমার সরকার কর্তৃক গৃহীত এমন সিদ্ধান্ত অবশ্যই মেনে নেবে।’
গত ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর মিয়ানমারে বিক্ষোভ ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। রাষ্ট্রদূত কিউ মিন সামরিক অভ্যুত্থানের সমালোচনা ও বিরোধিতা করে ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন। এ কারণেই তার আজ এমন পরিণতি।   

মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ এখনো চলছে। সেনা সদস্যরা এই বিক্ষোভ দমন করতে গিয়ে কয়েক ডজন শিশুসহ পাঁচ শতাধিক মানুষকে হত্যা করেছে। প্রতিনিয়ত সংখ্যাটা বাড়ছে।

একুশে সংবাদ/টি/আই

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর