সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্রের মহড়া ট্রাম্প সমর্থকদের 

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১২:৩৮ পিএম, ১৮ জানুয়ারি, ২০২১

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আর মাত্র দুই দিন পরই শপথ নিবেন জো বাইডেন। এরই মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি নগরীতে সশস্ত্র মহড়া দিয়েছে ট্রাম্পের সমর্থকেরা। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই স্থানীয় সময় রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্য থেকে ওয়াশিংটন পর্যন্ত সমাবেশ করেছে তারা। 

এর আগে ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকরা সশস্ত্র বিক্ষোভ করতে পারে বলে সতর্ক অবস্থানে ছিল নিরাপত্তা বাহিনী। তবে প্রেসিডেন্টের শপথের দুই দিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অস্ত্রের মহড়া শুরু করেছে ট্রাম্প সমর্থকরা।

রবিবার থেকে দেশজুড়ে প্রতিবাদ মিছিল করেছেন ট্রাম্পের সমর্থকরা। বেশ কিছু রাজ্যে তারা প্রতিবাদ দেখিয়েছেন। তবে পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার তারা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করেছেন। কোথাও কোনো অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। তবে কোনো কোনো অঞ্চলে প্রতিবাদীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনের সমর্থকদেরও রাস্তায় দেখা গিয়েছে বলে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।

ওয়াশিংটন নগরীতে কড়া তল্লাশি ছাড়া প্রবেশের কোনো সুযোগই নেই। ট্রাম্প সমর্থকদের সশস্ত্র সমাবেশের হুমকির মুখে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভার্জিনিয়া সিটিজেন ডিফেন্স লিগ নামের রক্ষণশীল একটি গ্রুপ বলেছে, তারা ওয়াশিংটন ডিসির পাশের রাজ্য ভার্জিনিয়ায় জড়ো হচ্ছে। অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়া তাদের অধিকার। 

স্থানীয় সময় সোমবার ভার্জিনিয়া সিটিজেন ডিফেন্স লিগ সমাবেশ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসির অদূরে রিচমন্ডহিল এলাকায় সশস্ত্র সমাবেশ করার হুমকি দেওয়ায় সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ বলছে, যথাযথ অনুমতি ছাড়া অস্ত্র নিয়ে এমন মহড়া রুখে দেওয়া হবে। 

রবিবার দুপুরে ওহাইও অঙ্গরাজ্যের কলম্বাস নগরীতে স্টেট হাউসের সামনে ২৫ জন বন্দুকধারী সমাবেশ করে। পুলিশের কড়া পাহারার কারণে সমাবেশে কোনো উত্তেজনা বা সহিংসতা দেখা যায়নি। 

উল্লেখ্য, গত ৬ জানুয়ারি মার্কিন পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটলে হামলা চালিয়েছিল ট্রাম্প সমর্থকরা। চারজনের মৃত্যুও হয়েছিল। ওই দিনের ঘটনা মার্কিন ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে। তারপরেই দেশ জুড়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১৫ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যের রাজধানীতে এবং ওয়াশিংটনে তারা পাহারার দায়িত্ব নিয়েছেন। বেশ কিছু এলাকায় তারা ফ্ল্যাগ মার্চ করেছেন।

ট্রাম্প সমর্থকদের এখনো দাবি, নির্বাচনে ট্রাম্প বিজয়ী হয়েছেন। কারচুপি করে তাকে হারানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গোটা দেশের একাধিক আদালতে মামলা হয়েছিল। কিন্তু কোথাও কোনো তথ্যপ্রমাণ দিতে পারেননি ট্রাম্প সমর্থকরা। 

একুশে সংবাদ/ ব.ঢ/এস
 

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর