সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

নতুন প্রজন্মের হাতে ডাকটিকেট পৌঁছে দিতে হবে

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৫:১১ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডাকটিকেট অসাধারণ জ্ঞান অর্জনের হাতিয়ার। নতুন প্রজন্মের হাতে জ্ঞানের হাতিয়ার এই ডাকটিকেট পৌঁছে দিতে হবে। 

তিনি  জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ডাকটিকেট প্রদর্শনীর পাশাপাশি ডাকটিকেট সংগ্রাহক বৃদ্ধিতে নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় ভাচুয়েল প্লাটফর্মে বাংলাপেক্স -২০২০ এর চতুর্থ বাংলাদেশ জাতীয় ডাকটিকেট প্রদর্শনীর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: আফজাল হোসেন, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: সিরাজ উদ্দিন এবং আন্তর্জাতিক ফিলাটেলিক এসোসিয়েশন সভাপতি , বার্ণি বেল্টন বক্তৃতা করেন। বাংলাদেশ ফিলাটেলিক এসোসিয়েশন কর্মকর্তা মনির হোসেন অস্টেলিয়া থেকে ওয়েবিনার অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

বাংলাদেশ ফিলাটেলিক এসোসিয়েশন ও ডাক অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ডাকটিকেটের ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, বৈচিত্রপূর্ণ বিষয় ভিত্তিক, ইতিহাস, সংস্কৃতি, গুরত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব কিংবা ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন তুলে ধরার মাধ্যমে ডাকটিকেট একটি দেশ ও জাতির ইতিহাসের বাহক হিসেবে কাজ করে।ডাকটিকে প্রদর্শনী ভার্চুয়েল মাধ্যমে জাতীয় পর্যায় থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রূপান্তর খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ডাকঘরকে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর সময় তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, চিঠিপত্র ও ম্যানুয়েল যোগাযোগ ব্যবস্থা ডিজিটাল ফর্মেটে তৈরি হওয়ায় ডাকঘরের কাজের পরিধি অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। 

ডাক ব্যবস্থার মাধ্যমে পণ্য পরিবহনে ডাকঘরের প্রয়োজনীয়তা অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে।তিনি বলেন, করোনাকালে প্রচলিত পণ্য, বাজার ও বাণিজ্য ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে।

ডিজিটাল কমার্স এখন মহিরূহে পরিণত হয়েছে। আমাদের আগামী দিনের বাণিজ্য বলতে ডিজিটাল বাণিজ্য বোঝাবে। পৃথিবী দ্রুত ডিজিটাল হচ্ছে । এরই ধারাবাহিকতায় বাণিজ্যও ডিজিটাল হবে।ডাকঘর সারাদেশে বিদ্যমান বিশাল নেটওয়ার্ক ও অবকাঠামো কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল বাণিজ্যে অভাবনীয় ভূমিকা রাখবে।

ডাকঘরকে ডিজিটাল রূপান্তরে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ডাকসেবাকে আগামী দিনের চাহিদার আলোকেই ব্যাপক সংস্কারসহ ঢেলে সাজানো হচ্ছে।

ডাক অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ফিলাটেলিক ফেডারেশন, বিএনপিএ এবং পিএবি‘র যৌথ উদ্যোগে এই ভার্চুয়াল ডাকটিকেট প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়। আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রদর্শনী চলবে।

এই উপলক্ষে ডাক অধিদপ্তর স্মারক ডাকটিকেট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটা কার্ড প্রকাশ করেছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার আজ ১৯ ডিসেম্বর ঢাকায় তার দপ্তরে বাংলাপেক্স ২০২০ প্রদর্শণী উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকেট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন এবং ডাটা কার্ড প্রকাশ করেন। এ উপলক্ষে একটি বিশেষ সীলমোহর ব্যবহার করা হয়। 

একুশে সংবাদ/শে.ফ/এস

তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগের আরো খবর