সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ফ্ল্যাট থেকে পদ্মভূষণ প্রাপ্ত সংগীতশিল্পীর মরদেহ উদ্ধার

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৯:৫৬ পিএম, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

হঠাৎ করেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন সংগীতশিল্পী বাণী জয়রাম। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) চেন্নাইয়ের ফ্ল্যাট থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয় বর্ষীয়ান এই গায়িকার।

 

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন বলছে, বাণীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় শোকাহত দক্ষিণী সংগীতমহল। একই সঙ্গে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ইন্ডাস্ট্রিতে। কীভাবে মৃত্যু হলো সেটা স্পষ্ট নয়। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে চেন্নাই পুলিশের থাউসেন্ড লাইটস থানার কর্মকর্তারা পৌঁছেছেন।

 

  ভারত সরকার গত মাসেই পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করেন এই সংগীতশিল্পীকে। গত ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মাননায় ভূষিত হন। এতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ মৃত্যুতে সশরীরে এই পুরস্কার গ্রহণ করা হলো না। এখন তার পক্ষে অন্য কেউ পুরস্কার নেবেন।

 

 ‘আধুনিক ভারতের মীরা’ হিসেবে খ্যাতি থাকা এই গায়িকা জীবদ্দশায় দশ হাজারেরও বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। তার জন্ম তামিল নাড়ুর ভেলোরে এক তামিল পরিবারে। ১৯৪৫ সালের ৩০ নভেম্বর জন্ম তার। জন্মসূত্রে নাম ছিল কলাইবাণী।

 

ছোট থেকে শাস্ত্রীয় সংগীতের তালিম নিয়েছেন বাণী। মায়ের অনুপ্রেরণা নিয়ে গুরু রঙ্গ রামানুজ আয়েঙ্গারের কাছ থেকে সংগীতের সাধনা শুরু করেছিলেন। পরবর্তীতে কাদালুর শ্রীনিবাস আয়েঙ্গার, টি আর বালাসুব্রহ্মণিয়ান ও আর এস মণির মতো মানুষদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্ণাটকী সংগীতের প্রশিক্ষণ নেন।

 

বিয়ের পর স্বামী জয়রামের সঙ্গে মুম্বাইতে আসেন বাণী। তারপর শুরু করেন নতুন সফর। হৃষিকেশ মুখার্জির ‘গুড্ডি’ সিনেমায় গানের সুযোগ পান। এটি ছিল তার বলিউডে অভিষেক। এরপর আর থেমে থাকেননি। জয়া  ভাদুড়ির (এখন বচ্চন) লিপে তার গাওয়া ‘বোল রে পাপিহরা’ গান এখনো জনপ্রিয়।

 

একুশে সংবাদ.কম/চ.ট/বি.এস

বিনোদন বিভাগের আরো খবর