সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

আরও কমছে রিজার্ভের পরিমাণ

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৯:৫৬ পিএম, ৭ নভেম্বর, ২০২২

চলমান ডলার সংকটের মধ্যে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৪ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে। সোমবার (৭ নভেম্বর) এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মেয়াদের আমদানি বিল বাবদ ১ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করার পর রিজার্ভের পরিমাণ ৩৪ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে এসেছে।

 

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২ নভেম্বর রিজার্ভ ছিল ৩৫ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। এক বছর আগে অর্থাৎ গত বছরের ২ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল  ৪৬ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। যা প্রায় ১২ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার বেশি।

 

প্রসঙ্গত, বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেশি থাকায় প্রতিনিয়ত রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া রফতানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহেও উন্নতি হচ্ছে না। যদিও আমদানি ব্যয়ও কমানো সম্ভব হয়েছে।

 

অবশ্য পরিস্থিতি সামলাতে সরকার এখন আইএমএফের ঋণ নিতে চেষ্টা করছে। ধারণা করা হচ্ছে—আগামী বছরের শুরুতেই ঋণের প্রথম কিস্তি পাওয়া যাবে।

 

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৪ জুলাই ব্যাল্যান্স অব পেমেন্ট, বাজেট সহায়তা ও অবকাঠামো খাতের জন্য ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়ে আইএমএফের কাছে চিঠি দেয় সরকার। এরপর গত ২৬ অক্টোবর দেশে এসেছে আইএমএফের প্রতিনিধিদল। ঋণ দেওয়ার শর্ত নিয়ে ও বিভিন্ন সংস্কার বিষয়ে আলোচনা করছেন তারা। এই প্রতিনিধি দলের রিপোর্টের ওপর নির্ভর করছে কতদিন নাগাদ ঋণ পাওয়া যাবে।

 

মূলত, বাংলাদেশে রিজার্ভের উল্লম্ফন হয় ২০২০ সালে। তবে গত বছরের আগস্টে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ নানা কারণে বেশ চাপে পড়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। এজন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ।

 

একুশে সংবাদ.কম/জন/জাহাঙ্গীর

অর্থ-বাণিজ্য বিভাগের আরো খবর