সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঈদে ৪ দিন বন্ধ থাকবে বেনাপোল বন্দর 

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৪:৫৩ পিএম, ১৯ জুলাই, ২০২১

২০ জুলাই (মঙ্গলবার) সারা দেশে পালিত হবে মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় উৎসব ঈদ উল আযহা। ঈদকে কেন্দ্র করে টানা চার দিন বন্ধ থাকছে বেনাপোল স্থলবন্দর। ঈদের দিন থেকে শুক্রবার পর্যন্ত  প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে বন্ধ থাকছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।

এ সময় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও যাদের দূতাবাসের ছাড়পত্র থাকবে সেসব পাসপোর্টধারী যাত্রীরা দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করতে পারবেন বলে জানা গেছে।

এদিকে আমদানি, রপ্তানি বন্ধ থাকায় ব্যস্ততম এ বন্দরটি এখন জনশূন্য। কোথাও নেই কোনো কর্মব্যস্ততা বা কোলাহল। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নজরদারি রয়েছে বন্দরের নিরাপত্তা কর্মী ও পুলিশের।

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, মঙ্গলবার ২০ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ঈদের ছুটি। ২৪ জুলাই থেকে আবারও দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে। ছুটির মধ্যে বন্দরে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব জানান, ঈদ ছুটিতে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি, রপ্তানি বন্ধ থাকলেও যারা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আগে ভারতে অবস্থান করছিলেন তারা দূতাবাসের ছাড়পত্র নিয়ে ফিরছেন। এছাড়া ছাড়পত্র থাকলে বাংলাদেশিরাও যেতে পারবেন ভারতে।

শার্শা থানা ওসি বদরুল আলম ও বেনাপোল পোর্টথানা ওসি মামুন খান জানান, ঈদ ছুটিতে বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা অনেকে গ্রামে যান ছুটি কাটাতে। এসময় তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পুলিশের টহল থাকবে।

জানা যায়, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় সাড়ে ৪০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। প্রতিবছর ভারত থেকে আমদানির পরিমাণ প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের পণ্য। আমদানি পণ্য থেকে সরকারের প্রতিবছর প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আসে। 

এছাড়া প্রতিদিন বাংলাদেশি প্রায় দেড়শ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হয় ভারতে। যা বছরে পরিমাণ প্রায় ৮ হাজার মেট্রিক টন।
বর্তমানে সরকারি আর সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া অন্যান্য দিনে ২৪ ঘণ্টা চলে বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম।

রাজস্ব আয় ও বাণিজ্যিক দিক থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের পরেই বেনাপোল বন্দরের অবস্থান। আমদানি পণ্যের মধ্যে গার্মেন্টস, কেমিক্যাল, তুলা, মাছ, মেশিনারিজ ও শিশু খাদ্য উল্লেখযোগ্য। রফতানি পণ্যের মধ্যে বেশিরভাগ পাট ও পাটজাত দ্রব। 

একুশে সংবাদ/স/তাশা

অর্থ-বাণিজ্য বিভাগের আরো খবর