সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

আজ থেকে খুলছে দোকানপাট-শপিংমল , যেতে লাগবে মুভমেন্ট পাস

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৮:০৯ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২১

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ায় টানা ১১ দিন বন্ধ থাকার পর আজ রোববার (২৫ এপ্রিল) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল খুলছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, আজ থেকে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকান ও শপিংমল খোলা রাখা যাবে।

দোকান ও শপিংমল খুলতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছের মালিকরা। তবে প্রথমদিনে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে কিছুটা সংশয় থাকলেও সোমবার (২৬ এপ্রিল) থেকে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমলে ক্রয়-বিক্রয় চলবে বলে আশা করছেন মালিক সমিতির নেতারা।

ব্যবসায়ীরা বলেন, সারাদেশে ৫৩ লাখের বেশি দোকানদার রয়েছেন। এই দোকানগুলোর মাধ্যমে দুই কোটি ১৪ লাখ মানুষ পরোক্ষ-প্রত্যক্ষভাবে জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করেন। এই মানুষের জীবন ও জীবিকার স্বার্থেই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন তারা। প্রথম দফার বিধিনিষেধকালে তাদের আহ্বানে সাড়া দেয়নি সরকার।  

এদিকে চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে বাইরে যেতে বিশেষ মুভমেন্ট পাস চালু করেছে পুলিশ। দোকান ও শপিংমলে যেতেও এই মুভমেন্ট পাস নিতে হবে।

এরপর করোনার কারণে দ্বিতীয় দফার বিধিনিষেধের মধ্যে দোকানপাট ও বিপণিবিতান খুলবে কি না, এ বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ছিলেন ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলালউদ্দিন বলেন, চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে দোকানপাট ও শপিংমল খুলবে কি না, এ বিষয়ে সরকার রোববার সিদ্ধান্ত জানাবে। তবে তার আগেই শুক্রবার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয় সরকার।

ওই সংবাদ সম্মেলন থেকে শ্রমিক-কর্মচারীদের দুই মাসের বেতন ও বোনাসের ৯৬ হাজার ৭০৮ কোটি টাকার অর্ধেক ৪৮ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা ঈদের আগে ঋণ প্রণোদনা হিসেবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দেয়ার দাবি তোলেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অচলাবস্থা দূর করার লক্ষ্যে আগামী তিনমাসের মধ্যে দেশকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনারও দাবি জানানো হয়।

লিখিত বক্তব্যে দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলালউদ্দিন বলেন, গত একবছর মহামারি করোনার কারণে ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ২০২০ সালের ১৮ মার্চ যখন বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে, তখন আমরা দোকান মালিকরা স্বেচ্ছায় ২৫ মার্চ থেকে সব কিছু বন্ধ করে দিয়েছিলাম। সরকার পরদিন ২৬ মার্চ থেকে সব কিছু বন্ধ ঘোষণা করে। তখন থেকে এ দেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জীবনে চরম ব্যবসায়িক মন্দা ও আর্থিক অনিশ্চয়তা নেমে আসে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত এক সপ্তাহের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল সরকার। পরে তা শিথিল করে শুধুমাত্র সিটির মধ্যে সীমিত আকারে যান চলাচল ও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খুলে দেওয়া হয় শপিংমল।

অর্থ-বাণিজ্য বিভাগের আরো খবর