সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) অভিযান চালিয়ে শেরপুর ঝিনাইগাতি থেকে অভিযুক্ত ফাতেমা ও তার আগের পক্ষের স্বামী গাজী রহমানকে আটক করেছে পুলিশ।
লালবাগ জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার জানান, গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের হাসান নগর এলাকায় একটি বাসা থেকে ফজল মিয়া নামের এক ভিক্ষুকের অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত ফজল মিয়া ভিক্ষাবৃত্তি করতের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দ্বিতীয় পক্ষের কন্যা সন্তানকে প্রায়ই যৌন হেনস্তা করতো ফজল। সম্প্রতি তার ২য় স্ত্রী ফাতেমা বেগম তার বড় মেয়েকে নিয়ে দোকানে গেলে সেই সুযোগে ফজল তার ২য় স্ত্রীর ১৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
ঠিক সেসময় ফাতেমা বেগম ঘরে ফিরে এই অবস্থা দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তখন তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ব্যপক বাকবিতন্ডা হয়। এরপর স্ত্রী ফাতেমাই তার আগের পক্ষের স্বামী গাজী রহমানের সহায়তায় ফজলকে হত্যা করেন।
জিজ্ঞাসাবদে ফাতেমা জানান, দুধের ভেতর বেশ কয়েকটি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ফজলকে পান করানো হয়। তার কিছুক্ষণ পরই সে ঘুমিয়ে পড়েন। সেদিন দুপুরে আগের পক্ষের স্বামী গাজী রহমানকে ফোনে ডেকে আনেন তিনি। এসময় তারা সবাই মিলে শ্বাসরোধ করে ফজলের মৃত্যু নিশ্চিত করে। এখানেই শেষ নয়, মৃত্যু নিশ্চিত যেনেও ফজলের পুরুষাঙ্গ ব্লেড দিয়ে কেটে ফেলেন ফাতেমা। এরপর তালা বন্ধ করে সেখান থেকে পালিয়ে যায় তারা।
একুশে সংবাদ/এসএপি