গত শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাত ১০টায় নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের নন্দীরপাড় গ্রামে বান্ধবীর বাড়ি থেকে প্রবাসীর স্ত্রীকে (২২) জোর করে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ফরহাদ নন্দীরপাড় ভূঞা বাড়ির লেদু মিয়ার ছেলে।
এই ঘটনায় সোমবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী।
মামলার সূত্র থেকে জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে ওই গৃহবধূ তার বান্ধবীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তাদের বাড়িতে যান। সেখানে কেক কাটার পর স্থানীয় লেদু মিয়ার ছেলে ফরহাদের (২৫) নেতৃত্বে ৫-৭ জন লোক ওই বাড়িতে আসে। এই সময় তারা অনুষ্ঠানে আসা গৃহবধূর সঙ্গে রাজন নামে এক যুবকের সম্পর্ক আছে- এমন অভিযোগ তুলে তাদেরকে ফরহাদের বিল্ডিংয়ে নিয়ে আটক করে।
একপর্যায়ে তারা ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। রাজন চাঁদা দিতে অস্বীকার করে এবং বিভিন্ন জায়গায় ফোনে যোগাযোগ করলে কিছুক্ষণ পর রাজনকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ফোন এলে তারা রাজনকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু গৃহবধূকে আটকে রেখে কুপ্রস্তাব দেয় তারা। এতে রাজি না হলে ফরহাদ তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এই সময় তার সহযোগীরা বাইরে পাহারা দেয়।
এই বিষয়ে ভুক্তভোগীর বান্ধবী রিমা বলেন, অনুষ্ঠান থেকে ফরহাদের নেতৃত্বে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় হতবাক হয়েছি আমি। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
একই এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় ফরহাদের নেতৃত্বে চিহ্নিত প্রভাবশালীদের পৃষ্ঠপোষকতায় সংঘবদ্ধ একটি কিশোর গ্যাং নানা অপরাধে জড়িত রয়েছে।
এই বিষয়ে সেনবাগ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, এই ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ আজ ফরহাদকে প্রধান ও দুইজনকে সহযোগী উল্লেখ করে মোট তিনজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
মো. আব্দুল বাতেন আরও বলেন, ইতিমধ্যে গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান চলছে বলে তিনি জানান।
একুশে সংবাদ/রাফি