সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

পলাশে মানুষ বিক্রির হাট

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১২:৩৪ পিএম, ২ মে, ২০২৪

কিছুক্ষণ আগে ভোরের আলো ফুটেছে, বেশিরভাগ মানুষ তখনও ঘুমিয়ে আছে। কিন্তু নরসিংদীর পলাশ উপজেলার কৃষকদের ভোর হয় মানুষের শ্রম কেনার জন্য। আর এই শ্রম বিক্রির হাট বসে উপজেলার জিনারদী ও সদরের পাঁচদোনা মোড়ে। এসব হাটে প্রতিদিন ধান কাটার জন্য প্রায় ৭ শতাধিক শ্রমিক বেচা কেনা হয়।

ভোর থেকে সকাল ৬ টার ভিতরে বেড়ে যায় তাদের সংখ্যা। পণ্যের মতো দর-কষাকষিতে বিক্রি হওয়া এসব মানুষকে দিয়ে করানো যাবে যে কোন কাজ। তবে বর্তমানে পলাশে উপজেলার কৃষকদের ধান কাটার মৌসুম চলছে। 

এই মৌসুমে গাইবান্ধা, নীলফামারি ও লালমনিরহাট  থেকে ধান কাটার জন্য তাদের শ্রম বিক্রি করতে আসেন। প্রায় সবকিছুর উচ্চ মূল্যের সাথে বেড়ে গেছে তাদের শ্রম বিক্রিও। এছাড়াও তীব্র গরমে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে তাদের। এই গরমে ১১০০  টাকা থেকে ১২০০ টাকা চুক্তিতে তারা কাজ করতে যায় কৃষকের মাঠে। সকাল ৭ টা থেকে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত কাজ করেন তারা। এতো উচ্চ মূল্যে তাদের নিয়ে যেতে হচ্ছে কৃষকদের। ফসলের মাঠ থেকে ধান ঘরে তুলতে লাভ হবে না বলে জানান কৃষকরা। 

শ্রম বিক্রি করতে আসা খলিল, মিলন, কবির, ও আব্দুল লতিফ জানান, বর্তমানে প্রায় সবকিছুর মূল্য বেড়ে যাওয়ায় আমাদের মজুরিও বেড়েছে। তীব্র গরম থাকায় আমাদের কাজ করতেও অনেক কষ্ট হচ্ছে। এই গরমে কাজ করতে গিয়ে আমাদের একজন সহকর্মীও হিটস্টোক করে মারা গেছেন। তারপরও আমরা পেটের দায়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই গরমে কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছি। 

উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার কৃষক আব্দুল বাতেন জানান, শ্রমিকদের এতো বেশি খরচ দিয়ে ধান ঘরে তুলে আমাদের লাভ হচ্ছে না। তীব্র গরমের কারণে শ্রমিকদের পাশাপাশি আমাদের কাজ করতেও কষ্ট হচ্ছে। তাই এবার ধান কাটার জন্য শ্রমিকও বেশি কিনতে হচ্ছে। শুধু তাই নয় প্রতি বছরের মত দুই বেলা খাবারও দিতে হচ্ছে তাদের। 

একুশে সংবাদ/এস কে  

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর