সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

প্রেমিকা ও তার মাকে ধর্ষণ, প্রেমিক সহ আটক ৩

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১২:৩১ পিএম, ৫ জুন, ২০২৩
প্রতীকী ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ের প্রলোভনে ডেকে নিয়ে ছাত্রী (১৭) ও তার মাকে (৪০) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মেয়ের প্রেমিকসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

 

সোমবার (৫ জুন) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) ও শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুকমল চন্দ্র দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রোববার (৪ জুন) অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। শনিবার (৩ মে) রাত ৮টার পর শিবগঞ্জের পৌর মাগুরার মাঠ এ ঘটনা ঘটে।

 

আটককৃতরা হলেন, প্রেমিক শিবগঞ্জ পৌর পিঠালিতলা মহল্লার বাসিন্দা সেলিম রেজা (২৫)। তার বন্ধু ও একই গ্রামের বাসিন্দা মো. হাসান (২৪) এবং ভ্যানচালক পিঠালিতলা মহল্লার মো. মেহেরুল (৩০)।

 

পুলিশ জানায়, শনিবার (৩ মে) রাত ৮টার পর ওই এলাকার (পৌর মর্দনা গ্রামের পাশে) একটি মাঠের পাশের পাটখেতে মা ও মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর ফেলে যায় অভিযুক্ত মেয়ের প্রেমিক সেলিম এবং তার বন্ধু হাসান। এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশের তল্লাশিতে রোববার (৪ জুন) ভোরে ওই মাঠ থেকে উদ্ধার হয় মা ও মেয়ে। এরপর তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার ভোরে পুলিশের অভিযানে আটক হয় সেলিম ও হাসান।

 

এদিকে মা ও মেয়েকে রিকশাভ্যানে করে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেওয়ার অভিযোগে আটক হয় মেহেরুল। এ ঘটনায় মেয়ের মা গত রোববার সকালে আটক তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ে করেন। মামলায় আসামিদের গত রোববার আদালতে হাজির করা হলে ধর্ষণে অভিযুক্ত প্রেমিক সেলিম ও তার সহযোগী হাসান দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট জবানবন্দি প্রদান করে। পরে একই দিন সন্ধ্যায় আদালত সকল আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

 

পরিদর্শক (তদন্ত) সুকমল চন্দ্র দেবনাথ জানান, ‌‘রং নাম্বার থেকে মোবাইল ফোনে প্রথম পরিচয় হয় ভুক্তভোগী তরুণী ও সেলিম রেজার। পরে তাদের মধ্যে প্রেম হয়। এর একপর্যায়ে গত শনিবার রাতে মেয়েকে দেখা ও বিয়ের কথা বলে মা-মেয়েকে শিবগঞ্জে ডেকে নিয়ে আসে সে। পরে ভ্যানচালকের মাধ্যমে মা ও মেয়েকে ওই মাঠের পাশের পাটখেতে নিয়ে যায় সেলিম। সেখানে মা ও মেয়েকে সেলিম ও হাসান ধর্ষণের পর ফেলে রেখে যায়।’

 

তিনি আরও জানান, ‘স্ত্রী ও মেয়ের খোঁজ না পেয়ে মেয়ের বাবা একই দিন রাতেই ঘটনাটি শিবগঞ্জ থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ রাতেই উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযান শুরু করে। পরে ভুক্তভোগী মেয়ের মায়ের মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে তাদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। রোববার ভোরে ওই মাঠ থেকে মা ও মেয়েকে উদ্ধার করা হয়। পরে একই দিন ভোরেই অভিযান চালিয়ে সেলিম , হাসান ও মেহেরুলকে করা হয়েছে। রোববার সকালে মেয়ের মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে পুলিশ আসামিদের আদালতে পাঠায়। মা ও মেয়ের ডাক্তারি পরীক্ষা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে সম্পন্ন হয়।’

 

একুশে সংবাদ/এসএপি

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর