সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঠাকুরগাঁওয়ে বাজারে উঠেছে নতুন তরমুজ, দাম আকাশচুম্বী

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৪:৪৬ পিএম, ২ এপ্রিল, ২০২৩

ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরেও পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বাজারে আগাম তরমুজ উঠেছে। তবে মৌসুমি এ ফলের দাম অনেক বেশি হওয়ায় ক্রেতারা চাইলেও  কিনতে পারছেন না। বিশেষ করে এ ফলটি কেনা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের প্রায় হাতের নাগালের বাইরে চলে গেছে।

 

ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়ি, কোর্ট চত্বর, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, সত্যপীর ব্রীজ, গোধুলী বাজার, মন্দিরপাড়া, ঠাকুরগাঁও রোড যুব সংসদ মাঠসহ বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা যায়, তরমুজের অস্থায়ী বাজার।

 

শনিবার (২ এপ্রিল) পৌর শহরের বিভিন্ন বাজারে তরমুজের বাজারদর ছিল, কেজি প্রতি প্রায় ৫০-৭০ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে ঠাকুরগাঁও জেলায় উৎপাদনকৃত তরমুজ বাজারে উঠেনি। ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে রমজানকে লক্ষ্য করে বড় মাপের তরমুজ ঠাকুরগাঁও জেলায় এনে বিক্রি করছেন। এতে করে প্রতিটি তরমুজ ১০ থেকে ১৫ কেজি বা এর চেয়েও বেশি ওজনের। ফলে প্রতিটি ১৫ কেজির তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৮শ থেকে ৯শ টাকায় যা নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের ক্রয়ক্ষমতার নাগালের বাহিরে। ফলে ক্রেতারা খুব বেশি তরমুজ কিনছেন না।

 

ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের কালিবাড়ী বাজারে তরমুজ ক্রেতারা জানান, রমজান মাসে বাচ্চারা তরমুজ খেতে চায়। কিন্তু এখানে দামাদামি করে জানলাম ১২ কেজির ছোট তরমুজটি আমাকে কিনতে হবে ৭২০ টাকায়। এত টাকা দিয়ে কি একটি তরমুজ কেনা সম্ভব?

 

ক্রেতারা আরো বলেন, তরমুজ কিনতে এসে দাম জেনে চিন্তিত। একটি মাঝারী মানের তরমুজ ৬-৭শ টাকা দিয়ে কিনতে হবে। তরমুজ কিনবা না, আর কিছুদিন পরে যখন আরও বেশি পরিমাণে তরমুজ বাজারে উঠবে তখন ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে হলে কিনবো।

 

কালিবাড়ি বাজার সহ বেশ কয়েকটি ভাজারের  কয়েকজন তরমুজ বিক্রেতা জানান, রোজায় তরমুজের চাহিদা একটু বেশি থাকে। তাই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগাম তরমুজ বাজারে আনা হয়েছে। আগাম তরমুজের বর্তমানে দাম কিছুটা বেশি। কেজি প্রতি তরমুজ ৩৫ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। কেনা বেশি হওয়ায় বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানান তারা।  

 

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান, এ বছর ঠাকুরগাঁও জেলায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের যাবতীয় পরামর্শ ও সেবা প্রদান করা হয়েছে। আর কিছুদিনের মধ্যে জেলার তরমুজ বাজারে উঠতে শুরু করবে। মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে জেনেছি ফলনও ভাল হয়েছে এবং কৃষকেরা এ বছর তরমুজের ন্যায্য দাম পাবেন বলে প্রত্যাশা করছি।

 

একুশে সংবাদ/সো.রা.প্রতি/এসএপি

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর