সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

সড়কে ৪ বছর বয়সী ফুলবিক্রেতা!

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১২:৪৮ পিএম, ১৮ মার্চ, ২০২৩

ফুল আছে! ফুল নিবেন বলে হাতে গোলাপ নিয়ে ডাকছে ছোট্ট একটি শিশু। বয়স ৪ কি ৫ হবে, এটুকু বয়সে সড়কে ফুল বিক্রি করে চালাচ্ছে সংসার। বলছিলাম ৪ বছর বয়সী ফুলবিক্রেতা সামিয়ার কথা।

 

চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবিতে গেলে দেখা যাবে ছোট্ট এই শিশুটিকে। অসুস্থ বাবা আর কর্মহীন মায়ের মুখে দুমুঠো আহার তুলে দিতে সংসারের গুরুদায়িত্ব ছোট কাধে তুলে নিয়েছে সে। যে বয়সে সহপাঠীদের সাথে হেসে খেলে স্কুলে যাওয়ার কথা ছিল সে বয়সে সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই শিশুটি। এই সড়ক দিয়েই কোটি টাকার লাক্সারিয়াস গাড়ি হাকিয়ে চলাচল করেন অনেকে তবে কারো চোখ আটকায়নি ছোট্ট এই মায়াবী কন্যাকে দেখে। বাবা রিক্সা চালাতেন তবে অসুস্থতার কারণে এখন সেটিও বন্ধ। বাবার দেখাশুনার জন্য মাও এখন কর্মহীন। সংসারে উপার্জনের প্রায় সব পথ বন্ধ৷

 

আর তাই এদিক সেদিক কিছুই বিবেচনা না করে আহারের সন্ধানে নেমে পড়েছে ছোট্ট সামিয়া। বাবা মা আর ছোট্ট এক ভাইসহ সংসারে চার সদস্য তার। চার সদস্যদের ব্যায়ভার একাই বহন করে ছোট্ট সামিয়া। দৈনিক ৬০০ টাকার গোলাপ বিক্রি করলে আড়াইশ কিংবা তিনশ টাকা আয় হয় তার। আর এই দিয়েই চলে সামিয়ার পরিবার। ফুল বিক্রি করতে গিয়ে অধিকাংশ সময় না খেয়ে থাকে সে। আর দিন শেষে সব টাকা মায়ের হাতে তুলে দেয়।

 

সকাল থেকে বিকেল অবধি ফুল বিক্রি করে আবার কখনও কখনও সন্ধ্যা নেমে আসলেও বিক্রি করতে দেখা যায় তাকে। সামিয়া এসব ফুল সংগ্রহ করে পাইকারি ফুল বিক্রির দোকান থেকে। ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন ভোরে দোকান থেকে এসব ফুল সংগ্রহ করে সে।

 

সরকার কিংবা সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর যদি সামিয়াদের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিত তাহলে আট দশটা শিশুদের মতো হেসেখেলে বড় হয়ে উঠতো সামিয়া।

 

প্রতিবেদনটি দেখার পর দরদ জাগবে সবার মনে, এগিয়ে আসবেন সবাই। পাশে দাড়াবেন ছোট্ট সামিয়ার আর এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহল।

 

একুশে সংবাদ.কম/রা.হ.প্র/জাহাঙ্গীর

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর