সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় নগরকান্দার ১২ যুবক নিখোঁজ

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৬:১৭ পিএম, ১৫ মার্চ, ২০২৩

লিবিয়া থেকে অবৈধ উপায়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার পথে নৌকাডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ফরিদপুরের ১২ যুবক নিখোঁজ রয়েছে। এতে তাদের পরিবারের সদস্যরা চরম উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে দিন পার করছেন। তাদের সন্তানেরা বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে তা জানতে পারছেন না।

 

লিবিয়া থেকে অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিয়ে অবৈধ ভাবে ইতালি অভিমুখে যাত্রা করা একটি নৌকা রোববার (১২ মার্চ) বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে ডুবে যায়। এতে ৩০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এর মধ্যে ১২ জনই ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায়।

 

নিখোঁজ যুবকরা হল- উপজেলার কোদালিয়া শহিদ নগর ইউনিয়নের আটকাহনিয়া গ্রামের তোরাপ মোল্লার ছেলে শফিকুল ইসলাম রাসেল (৩০), ডাঙ্গী ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের মোস্তফা মাতুব্বরের ছেলে আল আমিন মাতুব্বর (২০), সোবাহান মোল্লার ছেলে মাহফুজ মোল্লা (২২), এসকেন মোল্লার ছেলে নাজমুল মোল্লা (২৩) ও সেকেন ব্যাপারীর ছেলে আকরাম ব্যাপারী (২৭), বাশাগাড়ি গ্রামের ইছাহাক ফকিরের ছেলে স্বপন ফকির (২৭), শংকর পাশা গ্রামের সেকেন কাজীর ছেলে শামীম কাজী (২১), সরোয়ার মাতুব্বরের ছেলে বিপুল (২৫), মালেক শেখের ছেলে বিটুল শেখ (২৫), শ্রীঙ্গাল গ্রামের সলেমান শেখের ছেলে মিরান শেখ (২২), ইদ্রিস শেখের ছেলে তুহিন শেখ (২০) ও নারুয়াহাটি গ্রামের কাশেম তালুকদারের ছেলে শাওন তালুকদার (২২)। এরা সবাই  স্থানীয় একটি দালাল চক্রের মাধ্যমে অবৈধভাবে ইতালি যাচ্ছিলেন।

 

নিখোঁজ রাসেলের বাবা তোরাপ মোল্লা জানান, নগরকান্দা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের আদম ব্যপারী মুরাদ ফকির মাধ্যমে ৮ লাখ টাকার চুক্তি হয়। সে লক্ষে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখে বাড়ি থেকে ইতালির উদ্দেশ্য রওয়ানা হয়। ৮ জানুয়ারি বিমান যোগে ঢাকা ত্যাগ করেন। দুবাই হয়ে ১২ জানুয়ারি তারা লিবিয়া পৌঁছায়। দুই মাস লিবিয়ায় অবস্থানের পর রোববার সাগর পথে নৌকায় চড়ে ইতালি যাওয়ার পথে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে।

 

ডাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম জানান, মুরাদ একজন মানব পাচারকারী। তিনি অবৈধভাবে বিদেশে লোক পাঠিয়ে কয়েক কোটি টাকা আয় করেছেন।

 

মানব পাচার চক্রের মূল হোতা মুরাদ ফকির পলাতক থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার সহযোগী বাশাগারী গ্রামের ইমারত মিয়া মোবাইল ফোনে বলেন, আমি মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত নই। তবে আমার হাত দিয়ে দুই এক জনের টাকা মুরাদকে দিয়েছি মাত্র।

 

নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন বলেন, এসব বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হক বলেন, এ ব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগ করেননি। তবে কেউ যদি অভিযোগ করে তাহলে দালালদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

একুশে সংবাদ.কম/রা.হা.কা/বি.এস

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর