সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গে জয়পুরহাটে আ. লীগ নেতাকে অব্যাহতি

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০২:১৬ পিএম, ৩ ডিসেম্বর, ২০২২

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আক্কেলপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসরকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি এবং স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।

 

শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে মাসিক সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে দলীয় সুত্রে জানা গেছে।

 

এ সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

 

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ইতোপূর্বে একাধিক আলোচনা সভায় নেতিবাচক মন্তব্য ও কটুক্তি করেন গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর। এরপর বিষয়টি নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ জরুরি অধিবেশনসহ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটির সদস্য হলেন -সহসভাপতি গোলাম হাক্কানী, অ্যাডভোকেট  মোমিন আহামেদ চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট  নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল। এই তদন্ত কমিটির সদস্যরা মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করেন। তাঁরা অভিযোগের সত্যতাও পান।  এবং জেলা কমিটির নিকট এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেন। তাঁদের তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে শুক্রবার বিকেল ৩ টায় জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত অধিবেশনে সদস্যদের মতামত গ্রহণ করা হয়। তারপর সর্বসম্মতিক্রমে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পর থেকে গোলাম মাহফুজ অবসর চৌধুরীকে তাঁর পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। শুধু তাই নয়, ওই অধিবেশনে তাঁকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ পাঠানোর সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়।

 

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট রাতে মুঠোফোনে বলেন, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসরকে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

 

এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর বলেন, দলের বিরুদ্ধে কোন কথা বলিনি। আমার কথা ব্যক্তির বিরুদ্ধে গিয়েছে। দলের কোন নেতার বিরুদ্ধে সমালোচনা করতে পারি এটা আমার অধিকার। আর যারা সংগঠনের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল। কেন্দ্রে ইন্সট্রাকশন ছিল তাদের অব্যাহতি দিয়ে বহিষ্কারের সুপারিশ করা, তাদের বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী কোন সুপারিশ কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে নাই। আমার এ কারণে জেলা আওয়ামী থেকে অব্যাহতি কিংবা বহিষ্কার দেওয়ার কোন এখতিয়ার রাখে না। এবং আজকের মিটিং থেকে এ কথা অব্যাহতি দিয়ে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ পাঠানো এরকম কথা হয়নি। আমি মিটিংয়ে ছিলাম। এখানে মূল বিষয় হয়েছে, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তারা কেন্দ্রে পাঠাবে গঠনতন্ত্র অনুসারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।


একুশে সংবাদ.কম/মা.র.প্রতি/বাইজীদ_সা’দ

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর