সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

প্রতিবন্ধী ধর্ষিত মেয়ের ন্যায় বিচারের দাবীতে বিআরইউতে মায়ের সংবাদ সম্মেলন

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৭:১৯ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আমার প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। যদি এর সঠিক বিচার না পাই তাহলে মা মেয়ে দুজনেই আত্মহত্যা করবো। আমার মেয়ে  প্রতিবন্ধী তারপর আবার হয়েছে একাধিকবার ধর্ষনের শিকার এই জীবন রাখার চেয়ে না রাখাই ভালো।

 

ক্ষোভ আর হতাশা নিয়ে কান্না কন্ঠে কথা গুলো বলেছিলেন বিআরইউতে সংবাদ সম্মেলনে ধর্ষিতা (ভিকটিমের) মা মোহাম্মদ রোকেয়া  বলেন, আগে ন্যায় বিচারের আশা করতাম, আর এখন দেশে মনে হয় ন্যায় বিচার নাই, আমরা গরীব আমাদের টাকা পয়সা নাই, আমার মেয়ে প্রতিবন্ধী, তাই কি আমরা কোন বিচার পাবোনা। আমার মনে হয় মেয়ের জন্য বিচার চাওয়াটাই আমাদের জন্য একটা অভিশাপ।

 

ধর্ষিতার সালমা মামলার এজাহার ও সংবাদ সন্মেলনে জানান, গত ৮/৯/২২ তারিখে সকালে আমার স্বামী কৃষিকাজ করার জন্য মাঠে চলে যায় এবং আমি সকালে রান্নার কাজ শেষ করে, সকাল ১১ টার দিকে ডাক্তার দেখানোর জন্য বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাই। আমার প্রতিবন্ধী মেয়ে (ছদ্দনাম) সারমিন আক্তারকে একা ঘরে রেখে যাই। ডাক্তার দেখানোর পর আমি যখন বাড়িতে আসি, তখন আমার প্রতিবেশি (ছদ্মনাম) হালিম খাতুন কাছে শুনতে পাই,বাড়িতে একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে শোনার সাথে সাথে আমি ঘরে ঢুকি এবং আমার স্বামীকে জিজ্ঞাসা করি কি হয়েছে তিনি জানান আমি যখন ১১ টার সময় বাড়িতে আসি তখন সামনের এবং পিছনের দরজা বন্ধ পাই।

 

শারমিনকে ডাক দিলে শারমিন পিছনের দরজা খুলিয়া দিলে, আমার স্বামি পিছনের দরজা দিয়ে ঘরে উঠিয়া দেখতে পায়। আমাদের একই বাড়ির প্রতিবেশি ধর্ষক শহিদুল ইসলাম লুঙ্গি পরতেছে এবং দ্রত লুঙ্গি পরিয়া তারাহুরো করে সামনের দরজা খুলে দৌড় দিয়ে চলে যায়। তখন আমার স্বামী মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে, মেয়ে জানায় শহিদুল তার সাথে খারাপ কাজ করছে। আমরা বাড়িতে না থাকায় আমার প্রতিবন্ধী মেয়ের সরলতার সুযোগ নিয়ে শহিদুল ইসলাম আমার মেয়েকে ধর্ষন করিয়াছে।

 

তিনি জানান, স্থানীয় সাক্ষী দেলোয়ার খান কালুকে অবহিত করলে, কালু, শহিদুল ইসলামকে ঘটনার বিষয় জিজ্ঞাসা করেন, ধর্ষক শহিদুল ইসলাম আমাদের ঘরে আসিয়া আমাদের পা ধরে মাপ চায় এবং বলে আমি ভুল করেছি আমাকে মাপ করে দিন। এই বিষয় নিয়ে আমরা মামলা করার জন্য থানায় গেলে, আসামীর পরিবার আমাদেরকে মামলা না করার জন্য বলে এবং যদি মামলা করি তাহলে আমাদেরকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।

 

তিনি আরও জানান, আসামীর ভাই বাবুল বলে ৩ বছর আগে যে তোমার মেয়ে ধর্ষণ হয়েছিল তার স্বাক্ষী কিন্তু আমার ভাই শহিদুল ইসলাম, এখন তার বিরুদ্ধে মামলা করলে পূর্বের মামলার কিন্তু স্বাক্ষী আমার ভাই দিবেনা এবং মামলাও কিন্তু হালকা হয়ে যাবে। অতপর ভিকটিমের মা বাদী হয়ে বাবুগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন, যার জি,আর নং ৬৬/২২ ( বাবুগঞ্জ)।

 

বাবুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাবুবুর রহমান জানান, এই ঘটনায় একটি মামালা দায়েরের করা হয়েছে। এর পড় থেকেই আসামি পলাতক রয়েছে। আসামীকে ধরতে পুলিশ অব্যাহত চেষ্টা চালাচ্ছে। 

 

একুশে সংবাদ.কম/ট.এন.জা.হা

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর